Katwa: খারাপ মানের শিক্ষা সামগ্রী, অথচ বিল ৩ হাজার টাকা! ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন শিক্ষকরা
School: নিম্নমানের শিক্ষার সামগ্রী বিক্রি করতে এসে শিক্ষকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন এজেন্সির কর্মীরা। শিক্ষকদের বক্তব্য, নিম্নমানে সামগ্রী এনে বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। ব্যাগবোঝাই চক, ডাস্টার, গ্লোব, বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী ফিরিয়ে দেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষা সামগ্রী বিক্রির নামে এভাবেই কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়।
কাটোয়া: ট্রাক ভরে সামগ্রী এসেছে শিক্ষা দফতরের সামনে। ৩ হাজার টাকার উপরে বিলও করেছে এজেন্সি। কিন্তু সেই সামগ্রীবোঝাই ব্যাগ খুলতেই শিক্ষকরা দেখেন, যেন হরেক মাল ১০ টাকা! এরপরই সেই ব্যাগবোঝাই সামগ্রী ফেরত পাঠিয়ে দেন তাঁরা। শিক্ষকদের বক্তব্য, এভাবেই দুর্নীতিগুলো হয়। তাই তা রুখতে যা যা করার করতে হবে। কাটোয়ার পশ্চিমচক্র প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে সোমবার এই ঘটনা ঘটে।
নিম্নমানের শিক্ষার সামগ্রী বিক্রি করতে এসে শিক্ষকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন এজেন্সির কর্মীরা। শিক্ষকদের বক্তব্য, নিম্নমানে সামগ্রী এনে বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। ব্যাগবোঝাই চক, ডাস্টার, গ্লোব, বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী ফিরিয়ে দেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষা সামগ্রী বিক্রির নামে এভাবেই কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়। কোনও অসাধু চক্র এখানে কাজ করে। অথচ কথাী শুনতে হয় শিক্ষকদের। ওই শিক্ষকরা জানান, এজেন্সির কর্মীদের কাছে কাগজ দেখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে তা দেখাতে পারেনি।
সরকারি নির্দেশে অনুসারে চলতি শিক্ষাবর্ষে জেলার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী কিনতে ৩ হাজার ৯০০ টাকা বরাদ্দ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেইমতোই এদিন ৭৪টি প্রাথমিক স্কুল-সহ ২৬টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী আসে। শিক্ষকদের দাবি, যা জিনিস এনেছে বড়জোর ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দাম হবে। কার অনুমতিতে এ জিনিস আনা হল, প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষকরা।
কিন্তু কার নির্দেশে এই সামগ্রী এল? এজেন্সির প্রতিনিধি চন্দ্রমোহন রায় বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল এসআই অফিসে এসে জিনিসগুলি দেওয়ার জন্য। সেভাবেই এসেছি। আমাদের ফোনে বরাত দেওয়া হয়েছে। দিন দু’য়েক আগেই আসতে বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, জিনিসপত্র দেখে পছন্দ হলে নেবেন, না হলে না নেবেন। এর বেশি কিছু নয়।”
শিক্ষক সমিত ঘোষ বলেন, “টিএলএম বা টিচিং লার্নিং ম্যাটেরিয়ালসের জন্য ৩ হাজার ৯০০ টাকা বরাদ্দ আছে। অথচ সেই মানের জিনিস দেওয়া হচ্ছে না। এটা তো ঠিক নয়। অনেকদিন ধরেই আমরা এর প্রতিবাদ করছি। কিছু অসৎ অফিসার লাভ করছে।”
আরেক শিক্ষক অনিমেষ দত্ত বলেন, “প্রি প্রাইমারির জন্য টিএলএম বিক্রি করতে আসে। আমরা জানতে চাই, আপনাকে কে পাঠাল? সরকারি দফতরে বসে মাল বিক্রি করছে কে বা কারা? কারণ, মনে হয় এভাবে সরকারকে বদনামের চেষ্টা করছে একটা চক্র।”