Purba Bardhaman: হু হু করে বাড়ছে অসুস্থ-মৃতের সংখ্য়া, বিষমদ কাণ্ডের জেরে শনিবারও দিনভর বন্ধ মদের দোকান

Purba Bardhaman: এ ঘটনায় চাপ বেড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মদ বিক্রেতাদের উপরেও। কবে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হবে সে উত্তর নেই কারও কাছেই।

Purba Bardhaman: হু হু করে বাড়ছে অসুস্থ-মৃতের সংখ্য়া, বিষমদ কাণ্ডের জেরে শনিবারও দিনভর বন্ধ মদের দোকান
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 5:15 PM

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের(Purba Bardhaman) বিষমদ কাণ্ডের আঁচ পড়েছে গোটা রাজ্যেই। ইতিমধ্যেই মৃত্যু(Death) হয়েছে চার জনের। অসুস্থের সংখ্যাও হু হু করে বেড়ে চলেছে। শনিবারও নতুন করে দুজন অসুস্থ হয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। সুস্থ দু’জনের নাম শেখ বাপন ও শেখ বাপ্পা। এরা দু’জন খাগড়াগড় মাঠপাড়ার বাসিন্দা। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিকে শুক্রবারের পর শনিবারও বর্ধমান শহরে মদের দোকান (alcohol shop) বন্ধ থাকল। সমগ্র পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ বাড়ছে গোটা জেলাজুড়ে। এদিকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটি মদের দোকানের ম্যানেজার পিন্টু মন্ডল জানান, “সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবেই মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল। পরে দফতরের কর্মীরা দোকানে এসে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।”

এদিকে এ ঘটনায় চাপ বেড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মদ বিক্রেতাদের উপরেও। কবে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হবে সে উত্তর নেই কারও কাছেই। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানে বিষমদ কাণ্ডে অসুস্থের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। শনিবার ফের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই জন্যই আইনশৃঙ্খলা ও সর্তকতা অবলম্বন করতেই মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ ব্যাচের মদের বোতল পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই ঠিক হবে আগামীর সিদ্ধান্ত। যদিও এবিষয়ে আবগারি দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে এখনও পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মোট ছ’জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন সিসিইউ-তে ভর্তি আছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও একজন। এদিকে এর আগে যে চার জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, শেখ সুরবতি (৩৪), শেখ আমিন (৪৩), গৌতম দে (৪২) এবং চিন্ময় দে (৩৮)। একইসঙ্গে নতুন করে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন ভবানীপ্রসাদ সাঁই (৪৮) শহর সংলগ্ন সরাইটিকর নিবেদিতা পল্লীতে তাঁর বাড়ি। মৃত আর একজনের নাম শম্ভু শর্মা (৫৩)। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহর সংলগ্ন কেশবগঞ্জ চটিতে। এদিকে জেলার একটি বড় অংশের মানুষের দাবি, নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মদ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ।এদিকে ওই নির্দিষ্ট ব্যান্ডের ওই মদ বিক্রি হওয়ার কথা সরকার অনুমোদিত দোকান থেকে। কিন্তু, সরকারি অনুমোদন নেই এমন দোকানেও সহজেই ওই ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যাচ্ছে। এতেও বেড়েছে চাপানউতর।