Galsi Death: বিয়ের ১৭ দিন পর প্রেমিকের সঙ্গে আত্মঘাতী নাবালিকা, গলসিতে উদ্ধার যুগলের ঝুলন্ত দেহ
Galsi: শনিবার সকাল দশটা নাগাদ যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যুগলের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
গলসি : মর্মান্তিক পরিণতি। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী যুগল। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। বছর পনেরোর পূর্ণিমা ক্ষেত্রপালের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই গ্রামেরই দেবা বাউড়ির। তার বয়সও বছর ষোলোর আশপাশে। কিন্তু দুইজনের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত টিকল না। নাবালিকার পরিবারের লোকেরা তার বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে। ১৭ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল ওই নাবালিকার। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি এসেছিল নাবালিকা। আর সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যুগলের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ৩ অগস্ট বুদবুদ থানা এলাকায় ভরতপুর গ্রামে নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল তার পরিবারের লোকেরা। ১৭ দিন আগের লকথা। কিন্তু ওই নাবালিকা কিংবা তাঁর প্রেমিক, দু’জনের কেউই একে অন্যকে ভুলতে পারেনি। বিয়ের কিছুদিন পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে এসেছিল নাবালিকা। আর সেখানেই চরম সিদ্ধান্ত বেছে নেয় দুইজনে। শনিবার সকাল প্রায় দশটা নাগাদ দুইজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তড়ঘড়ি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ তাদের দেহ উদ্ধার করে নিকটবর্তী পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পর ওই যুগলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নাবালিকার বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও পক্ষ কোনও অভিযোগ এখনও করেনি পুলিশের কাছে।
মৃতার শ্বশুর সঞ্জয় বাউরি জানান, ” বৌমা ভাল ছিল। সম্মান করত। আজ শুনলাম, গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। আমাদের তো কিছু করার নেই।” সুমন বাউরি নামে মৃতার এক দাদা জানান, গতকাল রাত ১১ টা পর্যন্ত দেবা বাউরি তাদের সঙ্গে বসে গল্প করেছিল। তখন কিছুই বোঝা যায়নি। সকালে উঠে জানতে পারা যায়, একটি বাঁশের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, “আমি জানতাম না ওদের সম্পর্কের কথা। আগে জানতে পারলে, বাড়িতে জানাতাম বিষয়টি।”