Bardhaman: ‘R G Kar-এ কী হয়েছে জানেন তো?’, মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে গরাদে আরও এক ‘মদ্যপ’ সিভিক ভলান্টিয়ার

Bardhaman: জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত্রি ২টো বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ ভাতার থানায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। মহিলা চিকিৎসকের দাবি, প্রচণ্ড মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসা করাতে যান তিনি। অভিযোগ, সুশান্তর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তিনি করছিলেন।

Bardhaman: 'R G Kar-এ কী হয়েছে জানেন তো?', মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে গরাদে আরও এক 'মদ্যপ' সিভিক ভলান্টিয়ার
ভাতারে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2024 | 3:09 PM

বর্ধমান: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য, সেই সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকেও উঠে এল এক গুরুতর অভিযোগ। সেখানেও অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়র। মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অভিযুক্তের নাম সুশান্ত রায়। তাঁকে রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২১,১৩২,৩৫২ ও ৩৫২(২)ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করেছে ভাতার থানার পুলিশ। আদালত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর-এর ঘটনাতেও যে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে সেও পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত্রি ২টো বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ ভাতার থানায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। মহিলা চিকিৎসকের দাবি, প্রচণ্ড মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসা করাতে যান তিনি। অভিযোগ, সুশান্তর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তিনি করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনকী হুমকি দিয়ে এও বলেন, “আরজি করে কী হয়েছে জানেন তো?” এরপরই চিকিৎসক ভয় পেয়ে বাকি সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডেকে পাঠান। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সমস্ত নার্স এবং চিকিৎসকেরা ভাতার থানায় ডেপুটেশন দেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, “আমরা মানুষকে পরিষেবা দিই যাতে তাঁরা ভাল থাকেন। আমাদের তো নিরাপত্তা দরকার। সেই কারণ পুলিশ প্রোটেকশন দেওয়া হল। এখন উনি আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে যদি আমাদের উপর হামলা করে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? গতকাল আমাদের মহিলা চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “দোষীর গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি।” গতকাল রাত্রিবেলাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “এক চিকিৎসক বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় এসে আমার মহিলা পুলিশকে বলেছে আরজি করে যা হয়েছে সেই ঘটনা আপনার সঙ্গে করে দেব। এই বলে হুমকি দিয়েছে। তাঁর উপর চড়াও হয়েছেন।”

ধৃতের বাবা কালাচাঁদ রায় জানান, “আমার ছেলে ২০১৩ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়রের কাজ করছে। সেদিন হাসপাতালে একটি ওষুধ দেওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল। একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়েছিল। তখন আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় তর্কাতর্কি হয়েছিল।” তবে নেশার বিষয়টি স্বীকার করে সুশান্তর বাবা জানান, “মাঝে মধ্যে নেশা করত আমার ছেলে। ওর স্বভাব ভাল না। মাঝে মধ্যে অ্যাব নর্মাল হয়ে যায়।”

প্রসঙ্গত, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র সুশান্ত রায় বর্ধমান ভাতার রোডের কামনাড়ায় ডিউটি ছিল। ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে যান। সুশান্ত রায়ের বাড়ি ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে।