Cow Smuggling Case: বীরভূমে ফাঁস হতেই এবার কি কেতুগ্রামের গরুর হাটে খুঁটি বাঁধছে পাচারকারীরা?
Cow Smuggling Case: গরু পাচার রোধে বর্তমানে নজরদারি বেড়েছে বীরভূমে। সূত্রের খবর, সে কারণেই বর্ধমানের কেতুগ্রামের পাচুন্দী হাটকেই বেছে নিয়েছে গরু পাচারকারীরা। অভিযোগ, হাটকে আধার করেই চলছে পাচারের কাজ।
কেতুগ্রাম: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। যা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজ্য়-রাজনীতি। এদিকে এবার গরু পাচারের অভিযোগ উঠছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে (Ketugram)। অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের পাচুন্দী হাট থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে গরু। নদীপথ ও সড়ক পথ দুই রাস্তা দিয়েই পাচার করা হচ্ছে গরু। এদিকে গরু পাচার রোধে বর্তমানে নজরদারি বেড়েছে বীরভূমে। সূত্রের খবর, সে কারণেই বর্ধমানের কেতুগ্রামের পাচুন্দী হাটকেই বেছে নিয়েছে গরু পাচারকারীরা। অভিযোগ, হাটকে আধার করেই চলছে পাচারের কাজ। তবে চক্রের মাথায় কারা সে বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
এদিকে পাচুন্দী হাট থেকেই সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে মুর্শিদাবাদ খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। অন্যদিকে কেতুগ্রামের ভাগ্যমন্তপুর-উদ্ধারনপুর নদীঘাট পেরিয়ে নদিয়া সীমান্ত পার হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দুই পথেই পুলিশি নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় না বলেই খবর। পাশাপাশি ফেরিঘাটে গরু পারাপারের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এ কারণেই এই দুটি পথ দিয়ে সহজেই সীমান্ত পার করে পৌঁছে যাওয়া যায় বাংলাদেশে। সে কারণেই দুই পথই বিশেষ পছন্দ পাচারকারীদের। যদিও এ বিষয়ে গরু নিয়ে যাওয়া এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে পাচারের জন্য নয়। গ্রাম বাংলায় চাষের কাজের জন্য গরু কিনছেন তাঁরা।
গরু বিক্রিতা আনোয়ার শেখ বলেন, “ওরা বলে আমরা গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করি। বাংলাদেশে বিক্রি করে নাকি কোথায় করে তা তো আর আমরা জানি না। হাট থেকে বেরিয়ে ওরা বলে ওরা বহরমপুরের দিকে যায়। এক একবারে ১৫ থেকে ১৮টা গরু কিনে নিয়ে যায় এক একজন।” আর এক পাইকারি বিক্রেতা খোকন শেখ বলেন, “আজকে কয়েকজন গরু আনছিল। শুনছি তখন নাকি পুলিশ ধরেছে। শুনছি গরু চুরি করেছে। এখন একদমই বেচাকেনা নেই। বাইরের পার্টি আসেনি। মূলত ডোমকল, বেলডাঙা থেকে বেশি খদ্দের আসে।” এলাকাবাসী আরতি দাস বলেন, “হাটের দিন বেশি গরু যেতে দেখা যায়। সকাল ৮-৯টা থেকেই শুরু হয়ে যায় গরু নিয়ে যাওয়া।” এদিকে হাট থেকে ফেরি ঘাট দিয়ে গরু কিনে নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “গ্রামেগঞ্জেই বিয়ে সহ নানা অনুষ্ঠানে বিক্রি করি। দুপ্তাহ অন্তর অন্তর আসি। তবে বাংলাদেশ আমরা যাই না।”