Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bank Mitra in Tamluk: ব্যাঙ্কে ছিল দেড় লক্ষ টাকা, পাসবুক দেখে চক্ষু চড়কগাছ, পড়ে আছে ১৮০০!

Bank Mitra in Tamluk: এ ভাবে যে সব টাকা খোয়া যাবে, তা ভাবতেও পারেননি গ্রাহকেরা। আপাতত কারও কাছে উত্তর পাচ্ছেন না তাঁরা।

Bank Mitra in Tamluk: ব্যাঙ্কে ছিল দেড় লক্ষ টাকা, পাসবুক দেখে চক্ষু চড়কগাছ, পড়ে আছে ১৮০০!
টাকা হারিয়েছেন জ্যোৎস্না সিংহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 10:58 AM

তমলুক: ওইটুকুই হয়ত শেষ সম্বল। কষ্ট করে জমানো টাকা রাখা ছিল ব্যাঙ্কে। যদি কখনও বিপদে পড়েন তাহলে ভরসা বলতে ওই টাকা। আর সেটুকুও উধাও। কী ভাবে এমনটা হল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না গ্রাহকেরা। তমলুক থানার রামতারক এলাকার ঘটনা। জ্যোৎস্না সিংহ নামে এক মহিলা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন ব্যাঙ্কে। সম্প্রতি ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি হতবাক। তাঁর অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে মাত্র ১৮০০ টাকা। বাকি টাকার কোনও হদিশ নেই। এই খবর পেয়ে ছুটে যান অন্যান্য গ্রাহকেরা। প্রত্যেকেই দেখেন একই অবস্থা। স্টেট ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্কমিত্র শাখায় অফিসের টাকা রেখে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়েছেন গ্রাহকেরা।

২০১৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্কের কাঁকটিয়া শাখার অফিস থেকে রামতারক হাট এলাকার বল্লুক অঞ্চল অফিসের কাছে একটি গ্রামীণ শাখার উদ্বোধন হয়। এলাকাবাসী ওই গ্রামীণ শাখায় টাকা জমা রাখেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করতে থাকেন, তাঁদের সঞ্চয়ের টাকার থেকে কম টাকা রয়েছে। জ্যোৎস্না সিং নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে তিনি দেখেন মাত্র ১,৮০০ টাকা পড়ে রয়েছে। তিনি জানান, মাথায় ভাল করে ছাদ নেই, ছেলেকে মানুষ করতে হবে। ওই টাকা না পেলে রীতিমত বিপদে পড়তে হবে তাঁকে। গ্রামীণ শাখায় তাঁর মতন আরও অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।

বুধবার বিষয়টা জানাজানি হতেই প্রায় সব গ্রাহক এসে পৌঁছন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রত্যেকের। আর এক গ্রাহক জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে ছিল ২১ হাজার টাকা, তিনি দেখেছেন ১৫০০ টাকা পড়ে রয়েছে আপাতত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তবে কী ভাবে এই টাকা খোয়া গিয়েছে গ্রাহকদের সেই নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই শাখার দায়িত্বে থাকা মাধব মাইতির নামেই উঠছে মূল অভিযোগ।

বিডিও, এসবিআই-এর তমলুক শাখার ম্যানেজার, তমলুক থানার পুলিশ সহ অনেকেই বুধবার হাজির হন ওই শাখায়। এই সিএসপি বা ব্যাঙ্কমিত্র থেকে অনুমানিক দু থেকে তিন কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে বলেই অভিযোগ গ্রাহকদের। এই বিষয়ের প্রশাসনের তরফে কেউ কিছু বলতে চাইছে না।