Shankaracharya Slams Government: কোটি কোটি সনাতনীদের আস্থা-ভাবনার সঙ্গে খেলা হয়েছে, এ দায় সরকারের: শঙ্করাচার্য
সারা বিশ্বে ঢাক বাজিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, আমরা বিশাল আয়োজন করেছি। কিন্তু মূল কাজ, স্নানের জন্য শুদ্ধ-পরিষ্কার জলের বন্দোবস্ত করা, তাই হয়নি: শঙ্করাচার্য

গঙ্গা-যমুনার জলে মিশে অসংখ্য ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) সোমবার রিপোর্ট দাখিল করেছে। সিপিসিবির রিপোর্ট বলছে, প্রয়াগরাজের সঙ্গমে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় জল সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, সেই জলের স্নান করার অযোগ্য। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং জলের দূষণ নিয়ে ক্ষোভ উগ্রে দিলেন স্বয়ং জ্যোতির্মঠের আদি শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগেই, ন্যাশ্যানাল গ্রিন ট্রিবুউন্যাল জানিয়ে দিয়েছিল, গঙ্গা-যমুনার জল স্নানের জন্য যোগ্য নয়। সেই বিষয়ে কিছু নির্দেশ জারি করেছিল বোর্ড। বিশেষ করে, শহরের নালা-নর্দমার যে দূষিত জল এসে নদীতে মিশছে তা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। সারা বিশ্বে ঢাক বাজিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, আমরা বিশাল আয়োজন করেছি। কিন্তু মূল কাজ, স্নানের জন্য শুদ্ধ-পরিষ্কার জলের বন্দোবস্ত করা, তাই হয়নি।”
শঙ্করাচার্য আরও বলেন, “আমি যখন কুম্ভ স্নানে যাই, আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় বন্দোবস্ত নিয়ে কি বলবো? আমি বলি বিরাট বন্দোবস্তের জন্য আমি আসিনি। একটাই চাহিদা, আমি এবং বাকি যাঁরাই কুম্ভ স্নানে আসছেন তাঁরা যেন স্নানের জন্য পরিশুদ্ধ নদীর জল পান। এনজিটি বলেছে, খবরের কাগজে ছাপা হয়েছে জল স্নানের অযোগ্য।”
সরকারের প্রতি শঙ্করাচার্য বার্তা দিয়ে বলেন, “সরকারের কাছে এবং কুম্ভ মেলা আধিকারিকদের কাছে আমার অনুরোধ, প্রতিদিন সব ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হোক। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে বলুক জল স্নানের জন্য নিরাপদ। কিন্তু ওঁরা তা করেনি। পুরো মেলা কেটে গেল, সকলে নিজেদের কাজে ফিরে গিয়েছেন। স্নানের জন্য যে শুদ্ধ জল ওঁদের পাওয়ার কথা ছিল তা পায়নি।”
কুম্ভে পৌঁছেও দূষণের কারণে স্নান না করে ফিরে আসতে হয়েছে অনেককেই। শঙ্করাচার্য বলেন, “অনেকেই আমাকে ভিডিয়ো করে এনে দেখিয়েছেন, নোংরা মল জল সরাসরি এসে মিশছে নদীর জল। ৬ বছর আগে যখন কুম্ভ হয়েছিল, সরকার বলেছিল এই বার নর্দমার জল বন্ধ করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু পরেরবার কোনও নালা-নর্দমার জল নদীতে এসে পড়বে না। বাস্তবে তা হয়নি। দেখা যাচ্ছে খোলাখুলি জল এসে পড়ছে নদীতে। এই দায় সরকারের। এই বিষয় অত্যন্ত আপত্তিজনক।”
তাঁর কথায়, “এমনকি যাঁদের ভিআইপি বলে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাঁদেরকেও সেই দূষিত জলেই স্নান করতে হল। এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। কোটি কোটি সনাতন ধর্মীদের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভাবনার সঙ্গে খেলা হয়েছে। সরকার যখন এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয়, তখন এমনটাই হবে। মানুষের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পালনে কোথাও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।”





