AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan Pond: ব্রিটিশ আমলের পুকুরের জল মরল প্রথমবার, কী খুঁজতে ঝাঁপাল ভাতারের বাসিন্দারা?

Burdwan Pond: সাধারণ মানুষের ধারণা, পুকুরটি ছিল দেবোত্তর। বহু মানুষ এই পুকুরে মানত স্বরূপ সোনার গয়না ফেলতেন বলেও জানান তাঁরা। তাই সেই সোনার সন্ধানেই পুকুর তোলপাড় করছেন অনেকে। বর্তমানে এই পুকুরের মালিক জমিদার পরিবারের বংশধর অয়ন রায়।

Burdwan Pond: ব্রিটিশ আমলের পুকুরের জল মরল প্রথমবার, কী খুঁজতে ঝাঁপাল ভাতারের বাসিন্দারা?
ভাতারের সেই পুকুর।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2024 | 5:28 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: কেউ বলেন ২০০ বছর আগের পুকুর, কেউ বলেন মুঘল আমলের। কথিত আছে ২০০ বছর আগে এলাকার রানিমা এই পুকুর খননের ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর থেকে কখনও এই পুকুরের জল শুকোয়নি। কেউ এই পুকুরে নামতেও সাহস পাননি কোনওদিন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই পুকুরের কাছে বাড়ছে ভিড়। পাঁকে হাত ঢুকিয়ে কী যেন খুঁজে চলেছেন গ্রামবাসীরা? প্রাচীন এই পুকুরে কী এমন থাকতে পারে? এলাকাবাসীর দাবি, হাতড়ালে সোনা মিলবেই এই পুকুর থেকে। সেই আশাতেই চলছে সন্ধান। একেবারে যে তাঁরা হতাশ হচ্ছেন, তা নয়। ইতিমধ্যেই কেউ একজন আংটি পেয়েছেন বলে খবর। তারপর থেকে খোঁজ নেওয়ার জোর বেড়েছে আরও।

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কামারপাড়ার পুকুর ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে। জল মরতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। সোনা খুঁজতে পুকুরে নেমেছেন স্থানীয় অনেকেই। জানা যায়, এই পুকুরে কোনও দৈবিক শক্তি ছিল, এমনটা বিশ্বাস করেন গ্রামের অনেকেই।

ভাতার ব্লকের কামারপাড়ার এই পুকুর ব্রিটিশ আমলে খনন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। পুকুরটি দেবোত্তর পুকুর হিসেবে এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৮২৫ সালে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য পুণরায় খনন করেছিলেন কামারপাড়ার জমিদার। তারপর থেকে একবারও পুকুরের জল বের করা হয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীর। ওই পুকুরে কেউ মাছও ধরেন না।

বেশ কয়েকবার ওই পুকুরের জল মারার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু এত বিশাল পুকুরের সব জল বের করা সম্ভব ছিল না। এবার জমিদার পরিবারের ছেলে পুকুর খননের আর্জি জানান এলাকাবাসীর কাছে। তারপরই শুরু হয় কাজ। টানা ১৬দিনের চেষ্টায় দুটি পাম্প লাগিয়ে সেই পুকুরের সব জল বের করা হয়েছে। জল মরতে এলাকার মানুষ কার্যত অবাক। তাঁদের ধারণা ছিল এই পুকুরের কোনও দিন জল মরে না।

সাধারণ মানুষের ধারণা, পুকুরটি ছিল দেবোত্তর। বহু মানুষ এই পুকুরে মানত স্বরূপ সোনার গয়না ফেলতেন বলেও জানান তাঁরা। তাই সেই সোনার সন্ধানেই পুকুর তোলপাড় করছেন অনেকে। বর্তমানে এই পুকুরের মালিক জমিদার পরিবারের বংশধর অয়ন রায়।

এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কোনার জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর ভাই এই পুকুরের জল বের করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর মতে, এখানে দু একজন অল্প কিছু পেয়েছে। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা ধীরেন রায় জানান, এই পুকুরে সবসময় জল থাকত।