Physical Abused: হাড়হিম ঘটনা! নাবালিকা পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুন, ৩দিন ধরে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হল চিলেকোঠায়

Minor Girl Murder: এরপর বুধবার সন্ধ্যেবেলা মালিকের বাড়ি থেকে ফোন আসে। তারা নাবালিকার মাকে জানান যে, তাঁদের মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এরপর মৃতার পরিবার গ্রামের আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যায়। তখনই মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, এর আগেও মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে মালিকের ছেলে।

Physical Abused: হাড়হিম ঘটনা! নাবালিকা পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুন, ৩দিন ধরে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হল চিলেকোঠায়
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2024 | 9:34 AM

কেতুগ্রাম: শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনা। পেটের জ্বালায় পরিচারিকার কাজে এসেছিল নাবালিকা। কিন্তু পরিণতি এত ভয়ঙ্কর হবে কে ভেবেছিল? অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুনের পর ওই নাবালিকাকে তিন দিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল চিলেকোঠার ঘরে। শুধু তাই নয়, ঘটনা প্রকাশ্যে যাতে চলে না আসে, সেই ভয়ে মেয়েটির গলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মালিক ও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছে। তাদের আটক করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। আর্থিক অনটনের জন্য সে পাশের গ্রামের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে যেত। মৃতার মায়ের দাবি, গত সোমবারও প্রতিদিনের মতো ওই বাড়িতে কাজে গিয়েছিল সে। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। এরপর পরিবার যোগাযোগ করে যে বাড়িতে নাবালিকা কাজ করত সেখানে। তবে নাকি বাড়ির মালিক জানিয়ে দেয়, কাজ সেরে নাবালিকা আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। এরপর খোঁজ নেওয়া হয় বিভিন্ন এলাকায়। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় নাবালিকার পরিবার।

এরপর বুধবার সন্ধ্যেবেলা মালিকের বাড়ি থেকে ফোন আসে। তারা নাবালিকার মাকে জানান যে, তাঁদের মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এরপর মৃতার পরিবার গ্রামের আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যায়। তখনই মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, এর আগেও মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে মালিকের ছেলে। তবুও পেটের দায়ে কাজে পাঠিয়েছিলেন। মালিকের ছেলেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবারের ছেলে,বাবা,মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মৃতার মা বলেন, “আমার মেয়ে ওদের বাড়ি যেতে চাইত না। ওই মালকিন ডেকে ডেকে নিয়ে যেত। আমরা গরিব মানুষ। কাজ করলে দুটো টাকা আসে তাই পাঠাতাম। দুদিন ধরে কোনও খোঁজ পাচ্ছিলাম না। মালিকের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করলাম। প্রথমে বলেছিল মেয়ে কোথায় জানে না। পরে বলল খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি চিলেকোঠার ঘরে ঝুলছে। আমি জানি আমার মেয়েকে ওই মালিকের ছেলে ধর্ষণ করে খুন করেছে।”