Cow Smuggling: নেই নথি, ৪টি গাড়ি থেকে উদ্ধার ৬৭টি গরু, পাচারের চেষ্টা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি গরু বোঝাই গাড়ি কেতুগ্রামের পাচুন্দির দিকে আসছিল। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের এলাকার থেকে গাড়িগুলি আসছে বলে জানা গিয়েছে। তখনই তা আটক করে পুলিশ। চারটি গাড়িতে মোট ৬৭টি গরু ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেতুগ্রাম: বৈধ নথি ছাড়াই গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গরু। গাড়ি আটকে পুলিশ নথি দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি গাড়ির আহোরীরা। এর পরই গরুবোঝাই গাড়িগুলিকে আটক করার পাশাপাশি ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। গরুগুলি পাচারের উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অনুমান পুলিশের। কী ভাবে বৈধ নথি ছাড়া গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি গরু বোঝাই গাড়ি কেতুগ্রামের পাচুন্দির দিকে আসছিল। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের এলাকার থেকে গাড়িগুলি আসছে বলে জানা গিয়েছে। তখনই তা আটক করে পুলিশ। চারটি গাড়িতে মোট ৬৭টি গরু ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দাউদতুর রহমান মল্লিক, রাজকুমার ধীবর বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের থেকে ১৩টি গরু সমেত একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা নূর ইসলাম, লাল্টু শেখ, নয়ন শেখ, ফরিদ শেখকেও গ্রেফতার করেছে। এদের থেকে ১৬টি গরু সমেত একটি গাড়ি আটক করেছে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার বাসিন্দা আমিনুল শেখকে ১৬টি গরু সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারির পর অভিযুক্তদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। গরুগুলিকে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না। নিয়ে যাওয়া হলে কোথা দিয়ে পাচারের ছক ছিল, এই সবই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।