Katwa School: অসুস্থ বলে স্কুলে আসেন না, শিক্ষক ‘ভাড়া’ করে নিজের চাকরি বাঁচাচ্ছেন অতসীদেবী

Katwa School: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার শুনিয়া গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। শিশু শিক্ষাকেন্দ্র হলেও এখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।

Katwa School: অসুস্থ বলে স্কুলে আসেন না,  শিক্ষক ‘ভাড়া’ করে নিজের চাকরি বাঁচাচ্ছেন অতসীদেবী
অতসী বিশ্বাস ও ফিরোজ মণ্ডল (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2022 | 2:14 PM

কাটোয়া: সরকারি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। অথচ নেই কোনও শিক্ষিকা। যিনি রয়েছেন, তিনি আসেন না। কারা পড়াবেন শিশুদের? অগত্যা এলাকারই এক যুবককে ভাড়া করেই স্কুল চালান দিদিমণি।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার শুনিয়া গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। শিশু শিক্ষাকেন্দ্র হলেও এখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। ২০০৭ সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন অতসী বিশ্বাস। তবে অসুস্থতার জন্য তিনি আর স্কুলে আসেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, মূল রাস্তা থেকে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তবেই পৌঁছতে হয় স্কুলে। সেই কারণে মাসে দু’একবার স্কুলে আসেন তিনি।

পরবর্তীতে তিনি ফিরোজ মল্লিক নামে এক যুবককে স্কুলে পাঠান পড়ানোর জন্য। এমনটাই অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি ওই যুবককে মাস গেলে টাকা দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে তিনি স্কুলে এসে শিশুদের পড়াশোনা করান। এই বিষয়ে ফিরোজ মল্লিকের দাবি, স্কুল শিক্ষক অসুস্থ। সেই কারণে তাঁকে সাহায্য করতেই তিনি স্কুলে আসেন। ফিরোজ মল্লিক বলেন, “দিদিমণি অসুস্থ। সবদিন আসেন না। সেই কারণে আমি সহযোগিতা করি। আমি পড়াশোনা করি। পড়ানো আমার পেশা। তাই পড়াতে আমি ভালবাসি। সেই কারণে সাহায্য করতে আমি আসি। যদিও আমি বেকার।” অপরদিকে, অতসীদেবী বলেন, “আমি অসুস্থ। প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারি না। অতগুলো বাচ্চা সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে একটি ছেলে রয়েছে। সে সাহায্য করে দেয়। আমি চাই এখানে আরও শিক্ষক নিয়োগ হোক।”

যদিও, বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না গ্রামবাসীরা। রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। এই বিষয়ে SI এর অবর্তমানে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত পিনাকী ঘোষ মৌখিকভাবে বলেন, “শিক্ষিকার অবর্তমানে তিনি অন্য কাউকে দিয়ে স্কুল চালাতে পারেন না। খোঁজ নিচ্ছি।” এই বিষয়ে এলাকার বিডিও আশিক ইকবাল বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা এই রকম কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি একান্তই ঘটে থাকে তাহলে  ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”