Howrah Businessman Murder: বাবার কথায়, ‘খুনি আপনজনই’! রায়নায় গ্রামের বাড়িতে হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে নয়া মোড়
Purbo Bardhaman: শুক্রবার কলকাতার এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গ্রামের বাড়িতে। সব্যসাচী মণ্ডল বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে।
পূর্ব বর্ধমান: গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হাওড়ার (Howrah) ব্যবসায়ীর। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃতের বাবার দাবি, তাঁর দুই ভাইপো সুপারি কিলার লাগিয়ে ছেলেকে খুন করিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের (Purbo Bardhaman) রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নতুন মোড়।
শুক্রবার কলকাতার এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গ্রামের বাড়িতে। সব্যসাচী মণ্ডল নামে বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিনের ব্যবসা রয়েছে।
শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান। তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক তাঁকে ছাদ থেকে নীচে ডেকে নিয়ে যান। সব্যসাচীর খোঁজে কেউ এসেছেন বলে গাড়ি চালক জানান।
পরিবারের দাবি, তারপরই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্ন্যাল। তাঁরাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও রাঁধুনি, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল একটি চাঞ্চল্যের দাবি করে বসেন। তাঁর দাবি, তাঁদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ চলেছে। ২০১৬ সালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর ভাইপোরা তাঁর ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করেন।
সব্যসাচীর বাবার ধারণা, তাঁর দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তাঁর ছেলেকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করিয়েছেন। শনিবার রায়না থানায় তাঁর ছোট ভাই গৌরহরি মন্ডল, ভাতৃবধু পূর্ণিমা মন্ডল, ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর আবেদন, দ্রুত অপরাধীরা শাস্তি পাক।
সব্যসাচীর বাবা বলেন, “আমার বাড়িতে অনেক ঝামেলা রয়েছে। ভাই ভাইয়ে সম্পত্তি নিয়ে এসব হয়েছে। আমার ছেলেটাকে সুপারি কিলার লাগিয়েই খুন করা হচ্ছে। নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। দোষীরা যাতে ধরা পড়ে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। সম্পত্তি নিয়ে ভাই ভাইয়ে ঝামেলা ছিল। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলের এসব কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটাই আমার আইডিয়া। এটা সুপারি কিলার দিয়েই করানো হয়েছে। আগেও আমার ভাইয়ের ছেলেরা আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমি ভাইয়ের পা ধরে বলেছিলাম, আমার ছেলেকে ছেড়ে দে… জুতো পরে লাথি মেরেছিল। এটা ২০১৬ সালে মহালয়ার আগের দিনের ঘটনা। আমার এই ভাইপো দুটোই এই কাজ করেছে।” ছেলেকে হারিয়ে কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই সব্যসাচীর বাবা। তবে বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ তিনি।
আরও পড়ুন: Weather Update: ভোরে একটা শিরশিরে ভাব! কবে থেকে বঙ্গে পড়বে শীত? কী জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা?