Raju Jha Case:বাড়িতেই লতিফ! ‘অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট’ বার করে এতদিন কার দুয়ারে ঘুরছিল CBI?
Raju Jha Case: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও। কারণ গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর চার্জশিটে আগেই নাম ছিল আব্দুল লতিফের।
শক্তিগড়: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের দেড় দিন পার। এখনও অধরা কয়লা মাফিয়া রাজুর খুনিরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও। কারণ গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর চার্জশিটে আগেই নাম ছিল আব্দুল লতিফের। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট। চার্জশিট দেওয়ার অনেকদিন পর আসানসোল আদালতে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন করা হল। তারপরও কীভাবে ‘খুলে আম ঘুরে বেড়ালেন আব্দুল লতিফ? কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না? সূত্রের খবর, আব্দুল লতিফ নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেই খবর কি পেল না সিবিআই? প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভূমিকা। বিশেষ করে সিবিআই-এর সেই আধিকারিক, যিনি গরু পাচারের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন, সেই সুশান্ত ভট্টাচার্যের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। ২০২২ সালে ৭ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় আব্দুল লতিফ ও বিকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, তারপরও ছ’মাস ধরে লতিফকে গ্রেফতারির কোনও চেষ্টা করেনি সিবিআই।
বীরভূমে ইলামবাজারে নিজের বাড়িতেই ছিলেন লতিফ। সেখানকার বাসিন্দারাও সেকথা জানান। আর এই কয়েক মাসে রমরমিয়েই চলতে থাকে নাজ মার্বেল, সার্ভিস স্টেশনের ব্যবসা। এক্ষেত্রেও উল্লেখ্য়, কারোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়ে থাকলে, তাঁকে যদি গ্রেফতার করা সম্ভব না হয়, তাহলে নিয়ম মাফিক তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু লতিফের ক্ষেত্রেও তা হয়নি। তাহলে কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও কোথাও লতিফকে ‘সেফ গার্ড’ করেছেন? প্রশ্ন থাকছেই।
এখনও পর্যন্ত মাফিয়া খুনে পুলিশ আততায়ীদের কারও টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। ঘটনায় উঠে আসছে ছত্রে ছত্রে পুলিশি গাফিলতিও। ল্যাংচার দোকানের সামনে পুলিশের তিন তিনটি সিসিটিভিই খারাপ। সবকটি সিসিটিভিই একসঙ্গে খারাপ হয় কীভাবে?