Bardhaman Road Accident: বেঙ্গালুরু থেকে সুস্থ হয়ে ফিরছিলেন, বর্ধমানে গাড়ি দুর্ঘটনায় পিষে শেষ দম্পতি সহ চালক
Bardhaman Road Accident: মঙ্গলবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের গুরাপের মাজিনান ব্রিজের কাছে। মৃতদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪), বিজলি মণ্ডল (৫৯)।
বর্ধমান: দমদম বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট গাড়িতে চড়ে বর্ধমানে ফিরছিলেন দম্পতি। কিন্তু পথেই ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে হঠাৎই ধাক্কা চারচাকার। শুধু তাই নয়,পিছনেও ধাক্কা মারে আরও একটি ট্রাক যার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতি সহ গাড়ির চালকের।
মঙ্গলবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের গুরাপের মাজিনান ব্রিজের কাছে। মৃতদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪), বিজলি মণ্ডল (৫৯)। তাঁদের বাড়ি বর্ধমানের শহরের আনন্দপল্লীতে। মারা গিয়েছেন গাড়ির চালক বেচু ঘোষ (৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের ঘোষপাড়ায়।
সূত্রের খবর, সোমবার রাত্রিবেলা দমদম বিমানবন্দরে থেকে চারচাকা গাড়ি করে ওই তিনজন বর্ধমান ফিরছিলেন। গুড়াপের কাছাকাছি আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। এরপর পিছন থেকে আসা অপর একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দু’টি গাড়ির মাঝে পড়ে রীতিমতো চিঁড়েচ্যাপ্টা টা হয়ে যায় চার চাকা গাড়িটি। দ্রুত তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, রণজিৎবাবু অবসর প্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট। তিনি চার বছর আগে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃতের ভাই কাজল মণ্ডল জানান,দাদা এবং বৌদি বিজলী মণ্ডল বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছিলেন। ওখানে ওদে মেয়ে থাকে। দাদার ওখানেই চিকিৎসা চলছিল। ওখানের হাসপাতালে অপারেশন হয়। তারপর মেয়ের বাড়ি থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে গুড়াপের কাছে এই গাড়ি দুর্ঘটনা। আজ ভোর চারটে নাগাদ গুড়াপ থানা আমাদের ফোন করে খবর দেয়।”