Bardhaman Chaos: পড়ুয়াদের সামনেই হাতাহাতি দুই শিক্ষকের, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়
Bardhaman Chaos: ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের হাটগোবিন্দপুর হাইস্কুলে। স্কুল সূত্রে খবর, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুলে আসছিলেন না চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায়। তাই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিলেন প্রধান শিক্ষক অশোককুমার জোয়ারদার।
বর্ধমান: স্কুলের মাঠের ভিতর দুই শিক্ষকের বচসা। একজন প্রধান শিক্ষক। অপরজন চুক্তিভিত্তিক। পড়ুয়াদের সামনেই দু’জন করছেন হাতাহাতি। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা মিলে দু’জন উত্তেজিতকে শান্ত করেন। কিন্তু সেই হাতাহাতির ঘটনা কেউ বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। তারপরই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিয়ো দেখে অনেকেরই প্রশ্ন যদি শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের সামনে এহেন আচরণ করেন তাহলে তাঁরা কী শেখাবেন ছাত্র-ছাত্রীদের ? যদিও, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের হাটগোবিন্দপুর হাইস্কুলে। স্কুল সূত্রে খবর, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুলে আসছিলেন না চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায়। তাই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিলেন প্রধান শিক্ষক অশোককুমার জোয়ারদার। অভিযোগ, চুক্তিভিত্তিক ওই শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারণ করেন প্রধান শিক্ষক। এরপরই দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল বেধে যায় দু’জনের মধ্যে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মাঠের মধ্যে দুই শিক্ষক হাতাহাতি করছেন। তারপর এর মধ্যে আবার কৃষ্ণেন্দুবাবুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনি আমার মাকে ফোন করেছেন কেন?’ যদিও, উত্তেজিত চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে থামাতে দেখা যায় প্রধান শিক্ষককে। বিষয়টি কানে যেতেই ছুটে যান বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
শিক্ষাঙ্গনে এই রকম ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে মনে করছেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “এই রকম ঘটনা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষকরা সমাজের মেরুদণ্ড। তাঁরা দায়িত্বশীল মানুষ। তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।” জেলা বিজেপির মুখপাত্র সৌমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আজ শিক্ষাব্যবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়াচ্ছেন। এখন শিক্ষা যে জায়গায় পৌঁছেছে সেখানে শিক্ষা বলে কিছু নেই। সব কিছু এখন ভাগ-বটোরার ব্যাপার।” এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, “উনি অনেকদিন ধরেই স্কুলে আসছিলেন না। গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্কুলে আবার দেরি করে আসেন। ওনার না আসায় আমি ওনার মাকে ফোন করি। এরপর স্কুলে এসে কৃষ্ণেন্দুবাবু উত্তেজিত হয়ে যান। আমি ওনাকে থামানোর চেষ্টা করি। ওইদিন ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়। পুলিশও আসে স্কুলে।”