Kalna train: গেটের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, আচমকা চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা যুবককে, তারপর…
Purba Bardhaman: পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জিত মণ্ডল। কাটোয়ার মঙ্গলকোট থানা এলাকার মৌসুরী গ্রামের বাসিন্দা। কলকাতার শ্যামনগরে একটি মিষ্টির দোকানে কারিগরের কাজ করতেন তিনি।
কালনা: কাজ শেষ করে চার বন্ধু মিলে বাড়ি ফিরেছিলেন। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরেছিলেন। অফিস টাইম। যথেষ্ট ভিড় ছিল ট্রেনে। তবে বাড়ির পথ অনেকটা সেই কারণে একপ্রকার ঠেলাঠেলি করেই উঠে পড়েছিলেন চারজন। ভিতরে ঢুকতে পারেননি। গেটের সামনে ঝুলতে-ঝুলতে যাচ্ছিলেন। আচমকা শব্দ। চারজনের মধ্যে পড়ে গেলেন একজন। অন্যান্য যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা ঘটনা। সেখানেই চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্য যাত্রীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হাওড়া কাটোয়ারগামী কালনা স্টেশনের কাছে ঘটেছে। আহত ব্যক্তির নাম সঞ্জিত মণ্ডল। তাঁকে কালনা রেল পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় রেল লাইনের ধার থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে সঞ্জিতের সঙ্গে আরও তিনজন যুবক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন তিনি। এমনকী বন্ধুরা এত বড় দুর্ঘটনা দেখার পরও কেন তার বাড়িতে খবর দিল না সেই বিষয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে আহত যুবককে উদ্ধার করার পর তার পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে বাকি তিন যুবকেরও খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জিত মণ্ডল। কাটোয়ার মঙ্গলকোট থানা এলাকার মৌসুরী গ্রামের বাসিন্দা। কলকাতার শ্যামনগরে একটি মিষ্টির দোকানে কারিগরের কাজ করতেন তিনি। বাড়িতে পুজো অনুষ্ঠানের জন্য ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া কাটোয়া শাখার ট্রেনে চেপে চার বন্ধু মিলে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর ট্রেন ছাড়ার পর অতিরিক্ত যাত্রীর ভীড় হয়ে যায়। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন চার বন্ধু। তখন কেউ বা কারা চলন্ত ট্রেন থেকে সঞ্জিতকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। রক্তাক্ত ও সংকটজনক অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কালনা রেল পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বর্তমানে আহত যুবক কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।