দলীয় নেতার জমি দখল করে লাল ঝাণ্ডা পুঁতে দিলেন তৃণমূল নেত্রী!
তৃণমূল নেতা (TMC Leader) দাবি করেন, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খাঁনের ইন্ধনেই শিখা রায় ও তাঁর ছেলে বেআইনি ভাবে তাঁর জমির দখল নিয়েছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছেও এই বিষয়ে সবিস্তার অভিযোগ জানাবেন।
পূর্ব বর্ধমান: লাল ঝাণ্ডা পুঁতে দিয়ে এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader) চাষ জমি দখল করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার চকদিঘী পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর গ্রামে। শুক্রবার ওই তৃণমূল নেত্রী শিখা রায় ও তাঁর ছেলে সুমন্ত রায়ের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাশীনাথ সরকার নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
কাশীনাথ সরকারের বাড়ি জামালপুরের চকদিঘীর পাহাড়পুর গ্রামে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হিসাবেই এলাকায় তিনি পরিচিত। পুলিশকে এদিন কাশীনাথবাবু অভিযোগ করেন, পাহাড়পুরে জ্যোৎসুবল মৌজায় ৩৩৩ দাগে তাঁর ৬৯ শতক চাষের জমি রয়েছে। ওই সম্পত্তিটি তাঁর বাবা হরিসাধান সরকার ১৯৪৯ সালে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমেপাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা ফকির বাগদির কাছ থেকে কিনে নেন। যে সম্পত্তি তাঁর বাবার নামেই ভূমি দফতরে ‘আর-এস’ ও ‘এল-আর’ রেকর্ডে নথিমুক্ত রয়েছে। ওই জমিতে দীর্ঘকাল তাঁর বাবা চাষ করে এসেছেন। জীবিত অবস্থায় তাঁর বাবা হরিসাধন সরকার ওই ৬৯ শতক চাষ জমি দলিল করে তাঁকে লিখে দিয়ে যান।
এখন কাশীনাথ অভিযোগ, নিজেকে পাহাড়পুর এলাকার তৃণমূল নেত্রী বলে দাবি করা ফকির বাগদির বৌমা শিখা রায় তাঁর ছেলে সুমন্ত রায়কে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ট্যাক্টর নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তাঁর জমিতে চাষ করেন। এরপর প্রথমে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস দলের একটি ঝাণ্ডা ওই জমিতে পুঁতে দেন। পরে আবার ওই জমিতে বেগুন চারা লাগিয়ে তৃণমূলের ঝাণ্ডা সরিয়ে একটি লাল একটি ঝাণ্ডা পুঁতে দিয়ে বেআইনিভাবে তাঁর জমির দখল নেন।
এই ঘটনায় ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসেও এদিন তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাশীনাথবাবু দাবি করেন, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খাঁনের ইন্ধনেই শিখা রায় ও তাঁর ছেলে বেআইনি ভাবে তাঁর জমির দখল নিয়েছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছেও এই বিষয়ে সবিস্তার অভিযোগ জানাবেন।
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে ৫ ছাত্রী
এদিকে শিখা রায়ের দাবি, তাঁর শ্বশুরমশাই ফকির বাগদি পাগল ছিলেন। তার সুযোগ নিয়ে অনেকে তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের জমি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। শ্বশুরের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্যে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।