Crime in Purba Burdwan: কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচারিকা এনেছিলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা হল দম্পতির!

Crime News: অভিযোগ, সেদিন রাতে ওই দুই মহিলা আসার পর রাত ৮টা নাগাদ শিউলিপাতার বড়ির সঙ্গে দম্পতিকে কিছু খাওয়ানো হয়। এরপরই তাঁরা অচৈতন্য হয়ে পড়েন।

Crime in Purba Burdwan: কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচারিকা এনেছিলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা হল দম্পতির!
নীলুদাস বৈরাগ্য নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 9:48 PM

পূর্ব বর্ধমান: কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচারিকা নিয়োগ করেছিলেন। তাতেই ঘটল বিপদ! দম্পতিকে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে অচৈতন্য করে সর্বস্ব লুঠ করে পালানোর অভিযোগ উঠল দুই মহিলার বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার সাতগাছিয়া জীবন ঠাকুর এলাকার ঘটনা। নিমাই ভট্টাচার্য ও সোমা ঘোষ ভট্টাচার্য মেমারি থানায় এই ঘটনায় অভিযোগ করেন।

ভট্টাচার্য দম্পত্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বুধবার নদিয়ার কল্যাণী থেকে মেমারি থানার পুলিশ এক মহিলাকে গ্রেফতারও করেছে। ধৃতের নাম নীলু দাস বৈরাগ্য। বৃহস্পতিবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। একইসঙ্গে দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

গত ৭ নভেম্বর নিমাই ভট্টাচার্য তার অসুস্থ স্ত্রীকে দেখভালের জন্য পরিচারিকা চেয়ে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেন। কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে গত ১২ নভেম্বর পরিচারিকার কাজ করতে হাজির একজন বৃদ্ধা ও একজন মাঝ বয়সী মহিলা। অভিযোগ, এরপর দম্পতির বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রাতে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে অচৈতন্য করে সোনার গয়না, মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করে নিয়ে দুই মহিলা পালিয়ে যান।

অভিযোগ, সেদিন রাতে ওই দুই মহিলা আসার পর রাত ৮টা নাগাদ শিউলিপাতার বড়ার সঙ্গে দম্পতিকে কিছু খাওয়ানো হয়। এরপরই তাঁরা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পরদিন ১৩ নভেম্বর সকালে তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে সরকারি হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়েই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

এলাকার বাসিন্দা দীপক বসু জানান, “আমার জ্যেঠতুতো দাদার বাড়ি। ওরা থাকবে না বলে বিক্রি করে দিয়ে গিয়েছে। এখন বাইরে থাকেন। এখানেই ওই দম্পতি থাকেন এখন। ওনারা আগে বাজারের দিকে ভাড়া থাকতেন। পরে এই বাড়িটা কিনে নেন। ওই ভদ্রলোক ভদ্রমহিলাকে কিছু খাইয়ে দিয়েছিল। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে ছিলেন সারারাত। সকালে বাড়ির সবসময়ের যে পরিচারিকা সে এসে ডাকছে। দরজা খুলছে না দেখে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গিয়েছে। দেখে অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে। বাইরে থেকে দু’জন মহিলা এসেছিলেন। তাঁরাই হয়তো কিছু করেছেন।”

এসডিপিও দক্ষিণ আমিরুল ইসলাম খান বলেন, “১৩ তারিখ আমাদের কাছে খবর আসে মেমারির সাতগাছিয়ার কাছে একজন স্কুল শিক্ষিকা মহিলা ও তাঁর স্বামীকে কেউ বা কারা অজ্ঞান করে জিনিসপত্র নিয়ে চলে গিয়েছেন। পরে আমরা বাড়ির অপর একজন পরিচারিকার কাছ থেকে জানতে পারি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপণ দিয়েছিলেন গৃহস্থালির কাজের লোক চেয়ে। তা দেখে দু’জন আসেন। কোথা থেকে আসেন কেউ জানত না। ১২ তারিখ রাতে এসেছিলেন, ১৩ তারিখ ভোরে বেরিয়ে যান। এরপরই ওই দম্পতিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সুস্থ হয়ে তাঁরা অভিযোগ জানান। এরপরই কল্যাণী থেকে একজনকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। নীলু দাস বৈরাগ্য নাম। বয়স ৬৫ থেকে ৭০-এর কাছাকাছি।”

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল একদিনের সংক্রমণ, কমেছে নমুনা পরীক্ষাও