Bengal Panchayat Election: মনোনয়ন দিতে এসে মিলছে না পানীয় জলও, গরমে নাকাল রাজনৈতিক দলের কর্মীরা
Purba Burdwan: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিন ছিল সোমবার। তার আগে রবিবার নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দেয় বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
পূর্বস্থলী: প্রচন্ড রোদের তাপ। দাবদাহ চলছে। এরমধ্যে না আছে ছাউনি না আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসে সকলের একেবারে ঘেমেনেয়ে একসা অবস্থা। সোমবারই বিরোধী দলের তরফে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পূর্বস্থলী-২ ব্লক অফিসের বিডিও সর্বদলীয় বৈঠকে যা যা আলোচনা করেছিলেন, প্রশাসন সে ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণেই সমস্যা বাড়ছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিন ছিল সোমবার। তার আগে রবিবার নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দেয় বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন অবধি সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
আর সে কারণে বিডিও অফিস চত্বরে কোনও দোকান খোলা নেই। ফলে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসে পানীয় জলটুকু পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। অভিযোগ, বিডিও অফিসেও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয়, কোথাও কোনও ছাউনিরও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। যদিও এ নিয়ে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন পঙ্কজ দে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। পঙ্কজ দে’র কথায়, “ডিসিআর নিতে লম্বা লাইন। কাঠফাটা রোদে ২-৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মানুষের হয়রানি। বয়স্ক অনেকে আছেন, মহিলা আছেন। কারও সঙ্গে বাচ্চা পর্যন্ত আছে। অথচ সরকারের সবরকম পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা রাখেনি। পানীয় জলটুকু রাখেনি। এখানে এসে দেখছি এই অবস্থা। বিডিওকেও জানাব।”
আরেক বিজেপি নেতা সমর দাসের কথায়, “এই গরমে কোনও তাবু রাখা হয়নি। জল পর্যন্ত রাখেনি। এই গরমে যেভাবে খোলা আকাশের নীচে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, সান স্ট্রোক হয়ে মরে যেতে পারেন কেউ। নির্বাচন কমিশন, বিডিও এগুলো দেখছে কি না জানি না। হঠকারিতার মধ্যে ভোট ঘোষণা করে দিল। আমরা এই সমস্যার ভিডিয়ো ক্লিপ নিয়ে কমিশনে যাব।”
পূর্বস্থলীর সিপিএম নেতা মীরকাশেম শেখ বলেন, “এই প্রচন্ড গরমে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ। অফিসারদের গাফিলতিতে অসংখ্য প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পেরেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকী হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা। একই কাগজ একাধিকবার আনতে বলা হচ্ছে।” যদিও শাসকদলের দাবি, নিয়ম মেনে যেভাবে মনোনয়ন জমা নেওয়ার কথা, তেমনভাবেই সবটা এগোচ্ছে।