Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Burdwan News: আশ্রমের ঘরে এমন কাণ্ড ঘটতে পারে… কেঁদেকেটে একসা নাবালিকার মা

Purba Burdwan: স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঘরে ঘুমোতে চলে যায় শর্মিলা। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান আশ্রমের আবাসিকরা।

Purba Burdwan News: আশ্রমের ঘরে এমন কাণ্ড ঘটতে পারে... কেঁদেকেটে একসা নাবালিকার মা
শর্মিলার মা সুমিত্রা পণ্ডিত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 9:27 PM

পূর্ব বর্ধমান: গলায় ওড়নার ফাঁস। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কাঞ্চননগরের এক আশ্রম থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। এলাকার একটি আশ্রম থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। মৃতের নাম শর্মিলা পণ্ডিত (১৪)। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বেগুট গ্রামে শর্মিলার বাড়ি। সেখানেই তার মা, বাবা, ভাই থাকে। শর্মিলা কাঞ্চননগরে দিদিমার সঙ্গে শ্রীগুরু আশ্রমে থাকত। রথতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। স্কুলের পরীক্ষা চলছিল। এদিন ছিল পরীক্ষার শেষদিন। তার আগে এই ঘটনা। প্রেমঘটিত হতাশা থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বেগুট থেকে ছুটে আসেন মা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ছোট্ট থেকে মেয়ে দিদার কাছেই থাকে। মেয়েকে একটি ছেলে উত্যক্ত করত বলে জানতে পারেন তিনি। তবে এর বেশি কিছু জানেন না বলেই এদিন দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঘরে ঘুমোতে চলে যায় শর্মিলা। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান আশ্রমের আবাসিকরা। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যায়।

শর্মিলার মা সুমিত্রা পণ্ডিত বলেন, “কী হয়েছিল কিছুই জানি না। আমরা তো এখানে থাকি না। ও মামার বাড়িতে থাকে। বহুদিন হল এখানে আছে। মাঝে কয়েকদিন ফোনে টাকা নেই বলে যোগাযোগ করতে পারিনি। কালীপুজোর সময় থেকে একটা ছেলে ওকে ফোন করে জ্বালাতন করত। আমি আবার সেই ফোন একদিন ধরে ফেলি। ছেলেটাকে বললাম, কেন ফোন করছ ওকে? ওর তো সেই বয়সই হয়নি, ও ভালবাসার কী বোঝে? আমি বলছি ওকে ফোন করতে না। ছেলেটা বলছে, না ওকে দিন কথা বলব। ছেলেটা সম্পর্কে কিছুই জানি না। মনে হয় ফোনে ফোনেই যোগাযোগ।”

১৪ বছরের মেয়ে কেন এমন ঘটনা ঘটাল অবাক দিদিমা মানি কোড়াও। তিনি বলেন, “সবসময় যে ফোনে কথা বলে এরকমও তো না। কী যে করল, কেন করল বুঝতেই পারলাম না।” তবে আশ্রমের আবাসিক বৃদ্ধ চিরঞ্জিত ঘোষের কথায়, “স্কুলে পড়ে। আমি মাস ছয় হল এখানে এসেছি। আমাকে বড় বাবা ডাকত। আমি ওকে বড় মা ডাকতাম। মনে হয় ভালবাসা ছিল। হয়ত কিছু বলেছে ছেলেটা। মনে হয় ছেলেটা রাজি ছিল না, মেয়েটা রাজি। তা নিয়েই বোধহয় কিছু হয়েছে।”