ExtraMarital Affair: সারাক্ষণ বউ ফোনে গল্প করে, ফোন কাটতেই নম্বরটা ডিলিট, না করলেও শোনে না… এরপরই কাণ্ড ঘটালেন স্বামী
Purba Burdwan: ছাতনির বাসিন্দা জয়দেব খাঁ। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি। জয়দেবের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু খাঁকে তিনি প্রায়ই অন্য কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখতেন।
পূর্ব বর্ধমান: স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, সন্দেহ করতেন স্বামী। স্ত্রী কার সঙ্গে যেন ফোনে অনবরত গল্প করেন। কথার শেষে সেই নম্বরখানা ফোন থেকে বেমালুম উধাওও হয়ে যায়। তাতেই আরও সন্দেহ বাড়তে থাকতে ওই যুবকের। এরপরই স্ত্রীকে মারেন বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন স্বামী। সেই আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। স্ত্রীর পড়ে যেতেই ওই যুবক ভাবেন স্ত্রী বুঝি মারা গিয়েছেন। এরপরই বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। স্বামী, স্ত্রী দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের ছাতনি গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ছাতনির বাসিন্দা জয়দেব খাঁ। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি। জয়দেবের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু খাঁকে তিনি প্রায়ই অন্য কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখতেন। অথচ তিনি জানতে চাইলে কিছুতেই বলতেন না কার সঙ্গে কথা বলছেন। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম ঝামেলা লেগে যেত। রবিবার সকালেও স্ত্রী কার সঙ্গে একটা ফোনে কথা বলছিলেন। সেই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত।
দু’ এক কথা থেকে অশান্তি চরমে ওঠে। সে সময় দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে জয়দেব তাঁর স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। তাতেই লুটিয়ে পড়েন রিঙ্কু। সেই সময় জয়দেব ভাবেন, রিঙ্কু বোধহয় মরেই গিয়েছেন। এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুট লাগান তিনি। কয়েক কিলোমিটার দূরে ভাতারের বড়বেলুন এলাকায় একটি ট্রান্সফরমারে জড়ানো বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
এরপরই জয়দেব তড়িদাহত হয়ে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন। এই অবস্থা দেখে এলাকার লোকজন ছুটে যান। উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুকেও রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। দু’জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রিঙ্কুর বিপদ এখনও কাটেনি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।