Purba Bardhaman: ৩ দিন ধরে দেখছেন হাসপাতালে, কেউ বুঝে উঠতে পারেননি এমনটা ঘটে যাবে
Purba Bardhaman: তাঁরা জানান, উনি অসুস্থ ছিলেন। কয়েক ঘণ্টা আগে অন্য এক রোগীর আত্মীয়া তাঁকে বিস্কুট ও জল খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
বর্ধমান: হাসপাতালের মধ্যেই পড়েছিলেন। অনেকেই যাতায়াত করছিলেন। তবে প্রথমটা কেউ বুঝে উঠতে পারেননি। শেষমেশ সামনে এল ঘটনা।
এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ দিন হাসপাতালের আউটডোরের কাছে ওই মধ্য বয়সী মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন সেখানে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা। তাঁরা জানান, উনি অসুস্থ ছিলেন। কয়েক ঘণ্টা আগে অন্য এক রোগীর আত্মীয়া তাঁকে বিস্কুট ও জল খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সোমনাথ মুখার্জী জানান, ‘আমি প্রায় তিনদিন ধরে দেখছি ওই মহিলা হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন। সকালেও দেখলাম জীবিত রয়েছেন। আমার ধারণা কিছুক্ষণ আগেই উনি মারা গিয়েছেন।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, এতক্হাষণ হয়ে গেল অথচ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষর তরফে কেউ একদিনও আসেননি দেখতে।’
আর এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, ব্যস্ত হাসপাতালে এই কদিন ধরে ওই মহিলা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রইলেন। হাসপাতালের কর্মী বা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে দেখলেন না কেন? এমনকী নার্স বা চিকিৎসকরাই বা কেন এগিয়ে এলেন না? এলাকাবাসী সূত্রে খবর, ওই মহিলা সম্ভবত ভিক্ষুক। হাসপাতালের আশেপাশে ঘুরে বেড়াতেন। কিছুক্ষণ পরেই ওখান থেকে মৃতদেহ সরিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।
বস্তুত, গতকাল জেলায় খুনের একটি ঘটনা ঘটে। পরকীয় সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী। মহিলা যেন কার সঙ্গে ফোনে অনবরত গল্প করেন। কথার শেষে সেই নম্বরখানা ফোন থেকে বেমালুম উধাওও হয়ে যায়। তাতেই আরও সন্দেহ বাড়তে থাকতে ওই যুবকের। এরপরই স্ত্রীকে মারেন বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন স্বামী। সেই আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। স্ত্রীর পড়ে যেতেই ওই যুবক ভাবেন স্ত্রী বুঝি মারা গিয়েছেন। এরপরই বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। স্বামী, স্ত্রী দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের ছাতনি গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।