Purba Burdwan: হঠাৎই একরত্তির বিচ্ছিরি কাশি, ছুটে এসে দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা…
Burdwan News: জানা গিয়েছে, সর্জুনের দাদা শনিবার ইটভাটার পেলোডারের একটি ডিজেলের কৌটো কুড়িয়ে ঘরে এনে রাখে। জলের বোতলে ছিল সেটি।
পূর্ব বর্ধমান: ডিজেল খেয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার মাহিনগরে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম সর্জুন দেহরি। বয়স ১ বছরের কয়েক মাস। ঝাড়খণ্ডের ওই পরিবার কর্মসূত্রে মাহিনগরে থাকে। সর্জুনে মা ইটভাটায় কাজ করেন। বাবাও ভাটায় কাজের পাশাপাশি গাড়ির কাজ করেন। সেই ইটভাটাতেই থাকেন তাঁরা। সর্জুন ছাড়াও ওই দম্পতির আরও তিন সন্তান রয়েছে। সর্জুন সবথেকে ছোট। আরও দুই মেয়ে, এক ছেলে আছে।
জানা গিয়েছে, সর্জুনের দাদা শনিবার ইটভাটার পেলোডারের একটি ডিজেলের কৌটো কুড়িয়ে ঘরে এনে রাখে। জলের বোতলে ছিল সেটি। মুখটাও খোলা ছিল বোতলের। ওই বোতল কোনওভাবে মাটিতে পড়ে যায়। ওই তরল মুখে দিতেই কাশতে থাকে ছোট্ট শিশুটি। পরে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে সর্জুনের মৃত্যু হয় হাসপাতালেই।
সর্জুনের মা পিঙ্কি রানি বলেন, “হপ্তা পেয়ে বাজার গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে রান্নাবান্না করে খেলাম আমরা। আমি আবার মেজো মেয়েকে বললাম থালা বাসনগুলো ধুতে। ভাবলাম, ছোট ছেলেকে নিয়ে শুয়ে একটু বিশ্রাম করব। এরমধ্যে আমার আরেক ছেলে এসে দেখাচ্ছে ডিজেলের বোতলটা। বলল গাড়ির কাজে লেগেছিল, ও বাড়িতে নিয়ে এসেছে। আমি আবার বললাম, এটা দিয়ে আঁচ দেব না। সরিয়ে রেখে দে। ও যে কখন ঘরের ভিতরই রেখে দিয়েছে জানি না। এরপরই ছোট ছেলে মাটিতে শুয়ে ওই তরল মুখে দিয়ে দেয়। হঠাৎ শুনছি কাশি হচ্ছে। ছেলের মুখ একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। চোখ উল্টে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। এরপর হাসপাতালেও নিয়ে যাই। কিন্তু ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না।”