Dudhkumar Mondal: দল ছাড়া সকলেই ‘বিগ জ়িরো’, দুধকুমারকে আমলই দিলেন না সুকান্ত, তবে পাশে অনুপম

BJP: রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ২০১৫ সাল নাগাদ বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন তিনি।

Dudhkumar Mondal: দল ছাড়া সকলেই 'বিগ জ়িরো', দুধকুমারকে আমলই দিলেন না সুকান্ত, তবে পাশে অনুপম
সুকান্ত মজুমদার ও দুধকুমার মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 5:56 PM

পূর্ব বর্ধমান: দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বীরভূমের দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। যখন এ রাজ্যে গুটিকয়েক বিজেপি নেতার নাম শোনা যেত, সেই সময়ও অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দাপিয়েছেন এই দুধকুমার। ভোটবাক্সে তাঁর দাপট হয়ত লক্ষ্য করা যায়নি, তবে জেলায় সংগঠনকে মুষ্ঠিবদ্ধ করতে দুধকুমার যে নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবিদার, বলছেন জেলার ওয়াকিবহাল মহলও। সেই দুধকুমারই এবার অভিমানী। দুধকুমারের সেই অভিমান যে হেলাফেলা করার নয়, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তা তুলে ধরলেন দলেরই আরেক নেতা অনুপম হাজরা। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার একেবারে উল্টো সুরে। কার্যত কড়া বার্তা দিলেন ‘বিদ্রোহী’ দুধকুমারকে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “কিছু মানুষ মনে করেন আমরা বড় নেতা হয়ে গেছি। আদতে পার্টির বাইরে আমাদের কারও কোনও অস্তিত্ব নেই। এটা অনেকে হয়ত ভুলে যান। পার্টির সংবিধানে কোথাও লেখা নেই দুধকুমার মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটিগুলো করতে হবে।”

দুধকুমার মণ্ডলকে নিয়ে কোথায় বিতর্কের সূত্রপাত

সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন দুধকুমার মণ্ডল। উদ্ধত তর্জনীতে দুধকুমার, সঙ্গে লেখা, ‘জেলা থেকে ব্লক কমিটি আমার সঙ্গে আলোচনা না করে কমিটি গঠন করেছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক এবং কার্যকর্তাগণ আমাকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা চুপচাপ বসে যান।’ দুধকুমারের ‘দাম’ যে সংগঠনে কমেছে, এর আগেও একাধিকবার সে অভিযোগ বীরভূমের রাজনীতিতে উঠে এসেছিল। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ২০১৫ সাল নাগাদ বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন তিনি। সংঘ পরিবারের নীতি-আদর্শে বেড়ে ওঠা দুধকুমারের বক্তব্য ছিল, ‘নোংরা রাজনীতির’ সঙ্গে তিনি মানিয়ে উঠতে পারছেন না। এবার অবশ্য তিনি বলছেন, “পার্টিটা কারও একার নয়। আমাদের দলের আদর্শ, চিন্তাধারা রক্ষা করাই আমাদের কর্তব্য।”

দল ছাড়া সকলেই বিগ জ়িরো, তুমুল কটাক্ষ সুকান্তের

এই ধরনের মন্তব্য করার জায়গা দলে নেই। কারও যদি কোনও বিষয় নিয়ে অসুবিধা হয়, তাহলে তিনি তা দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আমাদের দলের সংবিধানে কোথাও লেখা নেই, দুধকুমার মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটিগুলি তৈরি করতে হবে। কিছু মানুষ মনে করেন, ‘আমরা বড় নেতা হয়ে গিয়েছি’। কিন্তু আসলে আমরা যে দলের জন্য নেতা, এর বাইরে আমাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। পার্টি ছাড়া যে বিগ জ়িরো সেটা অনেকে ভুলে যান।

সোশাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন অনুপম হাজরা?

এর আগেও বিজেপির জেলা সংগঠন যখন টালমাটাল হয়েছে, মুর্শিদাবাদের নেতা তথা রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ঘোষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখনও সরব হয়েছিলেন এই অনুপম। কেন বারবার দলের পুরনো নেতারা এভাবে সরে যাওয়ার কথা বলছেন, তা দলকে বিচার বিশ্লেষণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই একই ভূমিকায় দেখা গেল বোলপুরের এক সময়ের সাংসদ অনুপমকে। এদিন সোশাল মিডিয়ায় অনুপম লেখেন, ‘দুধকুমার দা’র মতো মানুষ সংগঠন থেকে হারিয়ে গেলে, তা চিন্তার এবং উদ্বেগের! বর্তমানে যারা সংগঠনে আছেন, তাঁদের উচিত দুধকুমার মণ্ডলের মতো পুরনো মানুষ যাঁরা সাংগঠনিকভাবে বলিষ্ঠ, তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শকে যথাযথ সম্মান এবং গুরুত্ব দিয়ে সংগঠনের সামনের সারিতে আনা।’