Drunk Man: কামড়ে যুবকের আঙুল কেটে নিলেন! মত্ত যুবকের কীর্তিতে অবাক গ্রামবাসীরা
Kalna: জানা গিয়েছে, মনসা পুজো উপলক্ষ্যে রায়পুর গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবে মেতেছিলেন। রবিবার দুপুরে মদ্যপ অবস্থায় নন্দন ও তাঁর সঙ্গীরা চড়াও হন পীযূশের উপর।
কালনা: মনসা পুজো উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতেছিলেন গ্রামবাসীরা। দল বেঁধে যুবকরা মদ্যপানও করছিলেন। সে রকমই এক দল মত্ত যুবক এসে ঝগড়া শুরু করে পীযূশকান্তি ঘোষ নামের ওই গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে। তাঁকে মারতে উদ্যত হন তাঁরা। পীযূশের সঙ্গীরা সে সময় তাঁকে আটকাতে যায়। এ রকম গোলমালের সময়েই ওই ব্যক্তি কামড়ে ধরেন পীযূশের ডানহাতের বুঙো আঙুল। কামড়ে আঙুলের একাংশ কেটে নেন ওই মত্ত ব্যক্তি। ঘটনার পর পীযূশকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর আঙুল জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচার হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত নন্দন পাল নামের ওই মত্ত। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের রায়পুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মনসা পুজো উপলক্ষ্যে রায়পুর গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবে মেতেছিলেন। রবিবার দুপুরে মদ্যপ অবস্থায় নন্দন ও তাঁর সঙ্গীরা চড়াও হন পীযূশের উপর। পীযূশের অভিযোগ, নন্দন এসে তাঁকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। মারতেও উদ্যত হন। অভিযোগ, এ রকম সময়েই নন্দন পীযূশের ডানহাতের বুড়ো আঙুল কামড়ে কেটে নেয়। আঙুল কাটার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন পীযূশ। তখনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নন্দন ও তাঁর সঙ্গীরা। ঘটনা নিয়ে অভিজিৎ ঘোষ নামে পীযূশের এক বন্ধু বলেছেন, “গোলমালের কোনও কারণ ছিল না। নন্দনরা হঠাৎ এসে গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমরা বারণ করি। তখনই হঠাৎ পীযূশের আঙুল কামড়ে ধরে কেটে নেয়।”
এর পর কাটা আঙুল নিয়েই গ্রামবাসীরা পীযূশকে নিয়ে যায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। তার আঙুলের পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতা স্থানান্তরিত করে। পীযূশকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আঙুল জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচার করা হবে। ঘটনার কথা পুলিশকেও জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।