Unnatural Death: ঝগড়া হচ্ছিল, আচমকাই পায়ের চটি খুলে ধেয়ে গেলেন মহিলা, বেধড়ক মার… হাসপাতালে যা তা কাণ্ড

Kalna: নাদনঘাটে শ্বশুরবাড়ি শর্মিলা রুইদাস নামে ওই তরুণীর। সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

Unnatural Death: ঝগড়া হচ্ছিল, আচমকাই পায়ের চটি খুলে ধেয়ে গেলেন মহিলা, বেধড়ক মার... হাসপাতালে যা তা কাণ্ড
বেধড়ক মার মহিলার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 11:03 AM

পূর্ব বর্ধমান: স্টেশনের ধার থেকে উদ্ধার হয় এক গৃহবধূর মৃতদেহ। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও, নিহতের বাপের বাড়ির লোকজন তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার করত স্বামী, শ্বশুর, ভাশুররা। এই অভিযোগে কালনা হাসপাতালের ভিতরই নিহতের স্বামীকে বেধড়ক মারধর করল নিহতের পরিবার। শুধু স্বামীকেই নয়, অভিযোগ শ্বশুর ও ভাশুরকেও সমানে জুতোপেটা করেন ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকেরা। সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। এমনকী মেরে নিহতের স্বামীর মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কালনা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

নাদনঘাটে শ্বশুরবাড়ি শর্মিলা রুইদাস নামে ওই তরুণীর। সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। শর্মিলার বাড়ির লোকেরা জানান, এদিনই কালনার সমুদ্রগড় ও নান্দায় স্টেশনের মাঝে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই দেহ উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। অন্যদিকে মেয়েটির বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালেই যায় বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, সেখানে শর্মিলার স্বামী বাণেশ্বর দাসকে দেখেই রেগে আগুন হয়ে যান বাপের বাড়ির লোকজন। চড়াও হন তাঁদের উপর। পায়ের চটি খুলে বেধড়ক মারধর করা হয় বাণেশ্বর-সহ তাঁর বাবা, দাদাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বাণেশ্বর দাস বলেন, “শ্যালক, শ্যালকের বউ মারধর করল আমাদের। ওরা বলছে আমি নাকি অশান্তি করেছি ঘরে। অথচ বউ সকালে উঠে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। সংসারে থাকতে গেলে টুকটাক অশান্তি তো হবেই। রবিবার রাতে বিছানায় শুয়েছি। তখন এদিক ওদিক কথা নিয়ে বউয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ একটা কথা বলছে, আমি একটা কথা বলছি। আমি ভ্যান চালাই। বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। কখনও একটু মদ খেলাম। এই নিয়েই ঝামেলা। এরপর আমি উঠে বারান্দায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। ও কোনওদিন ঝামেলা হলেও ঘর থেকে বেরোয় না। সোমবারই বেরিয়ে গেল। ওর পিছু পিছু মেয়ে ছুটেছে। তারপর আমিও গিয়েছি।”