Digha: উত্তাল দিঘার সমুদ্রে তলাল ব্যারাকপুরের যুবক, বাড়ি ফিরছে দেহ
Digha: সি-হক গোলা ঘাটের কাছে স্নান করতে নেমেছিলেন ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের দীপঙ্কর নন্দী (২৮)। সেই সময় জোয়ার চলছিল। ফলে সমুদ্রও ফুলে ফেঁপে ওঠে। দীপঙ্করের সঙ্গে দিঘায় আসা এক প্রতিবেশি বলেন, "আমরা সকলে স্নান করতে গিয়েছিলাম। ঢেউ যেখানে প্রবল ছিল, ও আসতে আসতে সেখানে চলে যায়। এদিকে এত বড় বড় ঢেউ আসছিল, ও আর নিজেকে সামলাতে পারেনি। ঢেউ টেনে নিয়ে চলে যায়।"
পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘার সমুদ্রে পর্যটকের মৃত্যু। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হল এক পর্যটকের। গত কয়েকদিনে একাধিকবার এরকম ঘটনা ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে সৈকত শহরে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক পর্যটক মারা যান শঙ্করপুরে। আবারও একই ঘটনা ওল্ড দিঘায়।
শনি-রবিবারের সৈকত শহর পর্যটকে ঠাসা। ট্রেনের টিকিট নেই, ফাঁকা নেই বাসের সিটও। হোটেলগুলির কথা তো ছেড়েই দিতে হয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় কেউ কেউ ৫০০, ১০০০ টাকা বেশি ভাড়া হাঁকালেও ঘর ফাঁকা নেই। ওল্ড দিঘা হোক বা নিউ দিঘা একই ছবি।
ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘায় সমুদ্রে পর্যটকদের ভিড়। সকাল থেকে সমুদ্রের ধারে ভিড় করছেন পর্যটকরা। জোয়ারের সময়টুকু বাদ দিয়ে দিঘায় সমুদ্রস্নানে মাতছেন তাঁরা। রবিবার সেই সমুদ্রস্নানে নেমেই তলিয়ে যান এক পর্যটক।
সি-হক গোলা ঘাটের কাছে স্নান করতে নেমেছিলেন ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের দীপঙ্কর নন্দী (২৮)। সেই সময় জোয়ার চলছিল। ফলে সমুদ্রও ফুলে ফেঁপে ওঠে। দীপঙ্করের সঙ্গে দিঘায় আসা এক প্রতিবেশি বলেন, “আমরা সকলে স্নান করতে গিয়েছিলাম। ঢেউ যেখানে প্রবল ছিল, ও আসতে আসতে সেখানে চলে যায়। এদিকে এত বড় বড় ঢেউ আসছিল, ও আর নিজেকে সামলাতে পারেনি। ঢেউ টেনে নিয়ে চলে যায়।”
দীপঙ্করের সঙ্গীরা তো বটেই, আশেপাশের পর্যটকরাও চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে সিভিল ডিফেন্সের নুলিয়ারা ছুটে যান। কোনওক্রমে উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, শাঁখার কাজ করতেন দীপঙ্কর। টিটাগড় থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাসে দিঘায় এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার বাসে ওঠেন, শুক্রবার দিঘায় নামেন। দু’দিন চুটিয়ে আনন্দ করেন। তবে রবিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।