‘খুঁজে খুঁজে বের করা হবে…’ নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: "খুঁজে খুঁজে বের করা হবে খুনিদের। যার যেখানে থাকা উচিত সেখানে সে যাবে। দেব্রবত মাইতির খুনি এবং খুনের চক্রান্তকারীরা... যে পুলিশরা ঘুমাচ্ছিলেন দেবব্রত মাইতি যখন খুন হয়! তারাও...''

'খুঁজে খুঁজে বের করা হবে...' নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 10:33 PM

নন্দীগ্রাম: গত ১৩ মে ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারান দেবব্রত মাইতি। বিজেপির দাবি, তাঁদের কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। সেই বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। আর শুক্রবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে সেই বিজেপি কর্মীর খুনিদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আঙুল তুললেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়ে ও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কমিশন এসে সারা রাজ্যের যেখানে যেখানে সন্ত্রাসের অভিযোগ বেশি সেই এলাকায় পরিদর্শনে যান মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা। পরিদর্শনের শেষে রিপোর্ট জমাও দেন। সম্প্রতি পাঁচ বিচারপতির এজলাসে এই বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানিতে কার্যত বিজেপি নেতৃত্ব যেমনটা অভিযোগ করে এসেছেন এত দিন, সেই সমস্ত ঘটনার তদন্তভার সিবিআই ও সিটকে দিয়েছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশে খুশি রাজ্যের শাসক দল। আর এদিন যেন এ নিয়ে আত্মবিশ্বাসীও লাগল নন্দীগ্রামের বিধায়ককেও।

শুক্রবার নন্দীগ্রামে রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খুন হওয়া দেবব্রত মাইতি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শুভেন্দু। বলেন,”খুঁজে খুঁজে বের করা হবে খুনিদের। যার যেখানে থাকা উচিত সেখানে সে যাবে। দেব্রবত মাইতির খুনি এবং খুনের চক্রান্তকারীরা… যে পুলিশরা ঘুমাচ্ছিলেন দেবব্রত মাইতি যখন খুন হয়! তারাও…”

তিনি আরও বলেন, “নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি খুনিদের ছাড়া হবে না। হিংসায় মদত দেওয়া এবং ঘুমিয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের রেয়াত করা হবে না।” উল্লেখ্য, বিজেপির অভিযোগ, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাদের সম্পত্তি লুট করেছে। এই প্রেক্ষিতে গত মে মাসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নন্দীগ্রামের কেন্দামারি, জলপাই, চিল্লাগ্রামে ইত্যাদি গ্রামে যান। অভিযোগ, চিল্লাগ্রামে এক বিজেপি সমর্থককে মারা হয়। ১৩ তারিখে মারা যান দেবব্রত মাইতি নামে সেই যুবক। তাঁর বাড়িতেও যান রাজ্যপাল। সেখানে মৃতের মা গভর্নরের সামনেই কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান। গভর্নরের চোখেও জল আসে। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর প্রশাসন কোনও বন্দোবস্ত নিচ্ছে না বলেই এই পরিস্থিতি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের বিশেষ নির্দেশের পর ফের সেই দেবব্রতর মৃত্যু নিয়ে শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা।

এদিন বিধায়কের উদ্যোগে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিধায়ক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় টেঙ্গুয়ায় সন্তোষ ভিলায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধকারী নিজে। আরও পড়ুন: ‘দাবি পৌঁছে দিয়েছি, এবার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের’, পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য জন বার্লার