পঞ্চায়েত স্তরে কাজে গতি আনতে অভিনব উদ্যোগ জেলাশাসকের, শুরু রাজনৈতিক তরজা
Panchayat Work: বিজেপির কটাক্ষ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটেই মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটবাক্সে।
পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েতের কাজে গতি আনতে এবার অভিনব পন্থা নিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাও। তবে জেলাশাসকের এই ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে কাজের গতি আনতে এবার উৎকর্ষতার পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি-সহ সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে থাকার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। তাই জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা করে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার একটা পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছেন জেলাশাসক। জানিয়েছেন প্রকল্পের এগিয়ে থাকলেই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকি পুরস্কৃত করবে জেলা প্রশাসন।
জেলা শাসক পূর্নেন্দু মাজি জানিয়েছেন, তিন মাস অন্তর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলির কাজের পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে প্রথমে ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতিকে পুরস্কৃত করা হবে। তার পর বছরের শেষে ফের একইরকম ভাবে পর্যালোচনা করে পুরস্কৃত করা হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে।
পূর্ব মেদিনীপুরহ জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা রয়েছে ৩২৪টি। পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা ২৫টি। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা। তবে এই উৎকর্ষতার পুরস্কার ঘোষণা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, এতে কাজের প্রতিযোগিতা বাড়বে। পঞ্চায়েত স্তরে ভাল কাজ করতে উদ্যোগী হবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি।
যদিও এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের খোঁচা, “এই সরকারের আমলে পঞ্চায়েত থেকে জেলাস্তরে কাটমানি ও ঘুষ না দিলে কোনও কাজ হয় না। সরকারি আধিকারিকরাও এটা জেনে গিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে মাননীয় জেলাশাসকও চেষ্টা করছেন কাজের গতি আনতে। কিন্তু সেটা আর হবার নয়।” বিজেপির সংযুক্তি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটেই মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটবাক্সে। আরও পড়ুন: দুয়ারে ‘দুর্নীতি’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি ঘিরে বিতর্কে তৃণমূল!