Bomb Blast in TMC Leader’s House: পায়ে হেঁটে এসে সহ-পুরপ্রশাসকের বাড়িতে বোমাবাজি, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল ছবি!
Bomb Blast in Tamluk: উপ-পুরপ্রশাসকের বাড়িতে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙুল তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তাম্রলিপ্ত পুরসভার উপ-পুরপ্রশাসকের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ইচ্ছে করে এই বোমাবাজি করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল সহ-পুরপ্রশাসকের । কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি, ঠিক কী ঘটে গিয়েছে। সকালে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই শিউরে উঠলেন তৃণমূল নেতা! রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে এসে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Bomb Blast) করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ শাসকদলের (TMC)।
ঠিক কী হয়েছিল বুধবার রাতে? তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বর্তমান সহ-পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতির অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আচমকা তিনি বিকট আওয়াজ পান। আওয়াজ শুনেই ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। প্রথমে চিত্তরঞ্জনবাবু ভেবেছিলেন কোনও বিয়েবাড়িতে বুঝি বা আতশবাজি ফেটেছে, কিংবা গাড়ির চাকা ফেটেছে। তখনও বুঝতে পারেননি বিপদটা ঠিক কোথায়!
সকালে, চিত্তরঞ্জনবাবু দেখেন তাঁর পরিবারের নিজস্ব যে দোকান রয়েছে, সেই দোকানে বোমাবাজি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরাও পড়েছে সেই ছবি। কী দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে? দেখা গিয়েছে, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুই ব্যক্তি ব্য়াগে করে বোমা নিয়ে আসে। পায়ে হেঁটে বাড়ির কাছে এসেই বোমা ছোড়ে তারা। মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা।
এদিকে বোমাবাজির জেরে দোকানের ব্যানার ফুটো হয়ে যায়। প্রায় ধসে পড়ে একটি দেওয়ালও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যদিও অপরাধীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। চলছে অনুসন্ধান। এরআগে তমলুকে বিভিন্ন সময়ে নানারকম রাজনৈতিক সংঘর্ষ হলেও এলাকায় এভাবে সরাসরি দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি প্রথম। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী।
যদিও, উপ-পুরপ্রশাসকের বাড়িতে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙুল তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তাম্রলিপ্ত পুরসভার উপ-পুরপ্রশাসকের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ইচ্ছে করে এই বোমাবাজি করেছে। তমলুক টাউন তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়ার অভিযোগ, আসন্ন পুরসভা ভোটে তৃণমূলকে চাপে রাখতেই রাতের অন্ধকারে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বিরোধীরা।
যদিও, পাল্টা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, “বীরভূমের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তমলুক শহরে। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভর দুপুরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বীরভূমের দুবরাজপুরে। দুবারজপুর ব্লকের পদুমা পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ও কার্যকরি সভাপতি তরুন গড়াই-এর গোষ্ঠীর মধ্যেই দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। বোমাবাজির জেরে আহত হন ৬ জন। তাঁদের দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়। তবে তাঁদেের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: Seikh Sufiyan: গুরুতর অসুস্থ সুফিয়ান, ‘সিবিআইয়ের থেকে বাঁচার নাটক’, কটাক্ষ বিজেপির