Egra: ‘হঠাৎ দেখি এদিকে ছুটে আসছে’, এগরার রাস্তায় মালিকহীন ২৫ গরু নিয়ে হইচই
Egra: গরুপাচার মামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখনও তেতে রয়েছে। কোথাও এভাবে গরু উদ্ধার হলে পাচারের তত্ত্বই সবার আগে সামনে আনে বিরোধীরা। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অমলেশ পাহাড়ির সন্দেহ, রাতের অন্ধকারে হয়ত কেউ গরুগুলি পাচার করার চেষ্টা করছিল।
পূর্ব মেদিনীপুর: রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কমবেশি ২৫টি গরু। কে তাদের মালিক, জানে না এলাকার লোকজন। শনিবার এগরায় এই ঘটনাকে ঘিরে জোর শোরগোল শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গরুপাচারের তত্ত্ব খাড়া করছে বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, যারা এসব নিয়ে জানে, তারাই মন্তব্য করে। এগরা-২ ব্লকের বিষরপুরে মালিকহীন ২৫টি গরুকে এদিন রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। তাদের ধরতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। পরে এগরা থানার পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ, ১০টি গরুর খোঁজ মিলেছে। বাকিগুলি ‘নিখোঁজ’। তবে আচমকা এলাকায় এত গরু এল কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে গরুর মালিকের।
বিষরপুরের বাসিন্দা গোপাল সেনের কথায়, “আমরা চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। কতগুলো গরু দেখি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আবার বলাবলি করছিলাম কার গরু কে জানে। আদর করে পাউরুটিও দিই। এরপর ডোমপুকুর স্ট্যান্ডের দিকে গেল। আবার দেখি কয়েকটা গরু এদিকে পালিয়ে আসছে। ৪-৫টাকে টেনে নিয়ে পালাচ্ছে কয়েকজন। পুলিশকে জানাই। ১০টা গরুর খোঁজ পেয়েছে শুনলাম। ১৫টা কোথায় কে জানে। আমাদের সন্দেহ গরু পাচারের চেষ্টা চলছিল।”
গরুপাচার মামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখনও তেতে রয়েছে। কোথাও এভাবে গরু উদ্ধার হলে পাচারের তত্ত্বই সবার আগে সামনে আনে বিরোধীরা। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অমলেশ পাহাড়ির সন্দেহ, রাতের অন্ধকারে হয়ত কেউ গরুগুলি পাচার করার চেষ্টা করছিল। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ফেলে পালিয়েছে। সত্যিটা কী তা উদঘাটনের কথা জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন আগে মন্দারমণি থানা এলাকার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর গ্রামেও গরু উদ্ধার হয়।
সমুদ্রপথে সেইসব গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানা যায়। গরু নিয়ে ট্রলার থামতেই গ্রামবাসীরা ৩৫টি গরু দেখতে পায়। শনিবার আবারও জেলায় গরু উদ্ধার। এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তরুণ মাইতি এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিজেপি হয়ত জানে তাই এসব বলতে পারছে।”