Purba Medinipur: ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির পরও থমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ, ‘খেলা-মেলায় টাকা খরচ’, অভিযোগ বিরোধীদের
Purba Medinipur: ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই নির্মাণকাজের শিলান্যাস করেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি নতুন বিশ্ব-বিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক শুরু হয় কাজও। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ আসে। কিন্তু কেন বন্ধ করা হল বিশ্ব বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ? সেই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুমোদন মিলছে না । তাই মহিষাদলে নির্মীয়মান মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্থগিতাদেশ জারি হল। সেই মর্মে ৫ এপ্রিল কর্মরত নির্মাণ সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছেন পূর্ত দফতরের তমলুক ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অর্ধেন্দু মণ্ডল। তারপরই মাথায় হাত পড়েছে নির্মাণ সংস্থা থেকে কর্মীদের। আদৌ কাজ এগোবে কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে এলাকায় ।
হলদিয়া মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মহিষাদলের কাপাশ এড়্যা লাগোয়া বামুনিয়া মৌজায় হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ২০ একর জায়গা দিয়েছে। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই নির্মাণকাজের শিলান্যাস করেন।
২০১৯ সালে ২০ একর জায়গার সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। আট তল বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভবন নির্মাণের উদ্দেশে ২০২১ সালের মার্চে কাজ শুরু করে কলকাতার এক সংস্থা । সেই মতই চলছিল পাইলিংয়ের কাজ। আড়াইশো জন কর্মীর তৎপরতায় ১০ হাজার বর্গমিটার পরিসরের নব্বই শতাংশ পাইলিং হয়েছে । কিন্তু সেই কাজ থমকাল ৫ এপ্রিলের একটি চিঠিতেই।
নির্মাণসংস্থার সিনিয়ার প্রোজেক্ট ম্যানেজার আশিস বোস জানান, “বাকি কাজের ৮০০০ বস্তা সিমেন্ট, ১০০ টন রড সহ প্রচুর বালি, স্টোনচিপ রোদ-জলে নষ্ট হবে। জানি না কাজের ভবিষ্যৎ কী হবে।” যদিও স্থানীয় মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী জানান, “মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধের কথা শুনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত কাজ শুরু করতে চেষ্টা করছি।”
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন কুমার ব্যানার্জী। তিনি বলেন, “শুধুই কথা দিলে হয় না। তা সম্পূর্ণ ও করতে হয়। ১০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ভাবে পাঠানো হলেও সেই টাকার বেশির ভাগ গিয়েছে দিদির ভাইদের কাটমানি খেতে-খেতে। এই সরকার খেলা, মেলা করতেই ব্যাস্ত সব টাকায় খরচ হচ্ছে ওখানেই। এই ধরনের কাজ কেন্দ্রের অর্থ ছাড়া সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন: Nadia Death: সকালে রেল-লাইন থেকে স্বামী, সন্ধেয় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার স্ত্রী