firecrackers recover: পাঁশকুড়া বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ, জেলাজুড়ে শুরু ধরপাকড়
Purba Medinipur: এখনও পর্যন্ত জেলাজুড়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ৬ জন। তা আরও বাড়তে পারে। যদিও দুর্ঘটনার পরে পুলিশি তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুর: পাঁশকুড়ায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা এখনও থামতে দেয়নি কান্নার শব্দকে। ইতিমধ্যেই দুইজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত বহু। অনেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। থমথমে ঘটনাস্থল। এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় চলছে বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে পুলিশি হানা। এখনও পর্যন্ত জেলাজুড়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ৬ জন। তা আরও বাড়তে পারে। যদিও দুর্ঘটনার পরে পুলিশি তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় বাজির বাজার মহিষাদলের চিঙ্গুরমারিতে। অনেকেরই দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এখানে বেআইনিভাবে বাজি বিক্রি হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় লক্ষ লক্ষ টাকার এই বেআইনি ব্যবসা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু পাঁশকুড়ায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় চাপে জেলা প্রশাসন। জেলা জুড়ে তাই শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান এবং ধরপাকড়। বহু জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে বাজিও। পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বেআইনি বাজি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারদের তালিকায় অন্যতম নাম দোলন ঘোড়াই। তার স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের সামনে কার্যকর স্বীকার করে নিয়েছেন দেদার বেআইনি বাজি বিক্রির অভিযোগ।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর পুলিশি অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আরও আগে থেকে সজাগ হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। এখন যা হচ্ছে তা শুধুই আই ওয়াশ। অন্যদিকে, বিজেপির রাজনৈতিক বাণ প্রশাসনকে বিদ্ধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘পাঁশকুড়াতে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হওয়ায় দুজন মারা যায়। তারপর আমাদের দল বাকি সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে।’