Nandigram: নন্দীগ্রামে বিশেষ নজর পুলিশ মহলের, দুই থানা নিয়ে তৈরি পৃথক পুলিশ জ়োন
Nandigram: পুলিশ সূত্রে খবর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিতে নন্দীগ্রাম ও চণ্ডিপুর থানা নিয়ে পৃথক জোন তৈরি করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে নন্দীগ্রামেই বিশেষ নজর পুলিশ মহলের। দুই থানা নিয়ে পৃথক পুলিশ জ়োন তৈরি হল।
পুলিশ সূত্রে খবর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিতে নন্দীগ্রাম ও চণ্ডিপুর থানা নিয়ে পৃথক জ়োন তৈরি করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। যার দায়িত্বে থাকবেন আইপিএস পদমর্যাদর জেলা সদরের ডেপুটি পুলিশ সুপার। তিনি রিপোর্ট করবনে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে।
জেলার ২৮টি থানার মধ্যে মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নন্দীগ্রাম থানায়। আর মনে করা হচ্ছে ঠিক এ কারণেই অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলায় জোর দিতে নন্দীগ্রামের সঙ্গে চণ্ডিপুর থানাকে নিয়ে পৃথক জ়োন গড়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলা পুলিশের কর্তারা। রাজ্য সরকারের অনুমোদনের পর এ মর্মে ইতিমধ্যে নির্দেশিকাও জারি করেছে জেলা পুলিশ। অপরিবর্তিত থাকছে বাকি জ়োনগুলি।
নন্দীগ্রাম থানাকে বিশেষ মর্যাদা নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘সামনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই দলদাস পুলিশ থেকে ক্রীতদাস হওয়ার প্রস্তুতি সারছে ওরা। পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করার প্রক্রিয়াতে এগোচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। ২১শের বিধানসভায় নির্বাচনে নন্দীগ্রামবাসী তাঁদের মতামত জানিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। সেই জ্বালা থেকেই এই সব করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা করেও নন্দীগ্রামের সাধারণ মানুষের বা প্রতিবাদী কণ্ঠরোধ করা যাবে না।’
এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আছে নন্দীগ্রামেই, বিজেপি রাজনৈতিক মাটি হারিয়ে আবোল তাবোল বকছে। পুলিশ তার নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে। সরকারি নির্দেশ পালন করছে। শুধু বিশেষ নজর দিচ্ছে। যা শুনেছি কেসের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় মনে হয়। তা ছাড়া আর কিছু কারণ আছে বলে মনে হয় না । বিজেপি সব বিষয় রাজনীতি করা ছাড়া উন্নয়নের ছবি চোখে পড়ে না ওদের।পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন আছে, শাসকের আইন নেই।’
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার পূর্ব মেদিনীপুর অমরনাথকে জানান, ‘শিল্পাঞ্চলে চাপ কমাতে ও অপরাধ বা ঘটনাস্থলে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত। হলদিয়া থেকে সড়ক পথে নন্দীগ্রামের শেষ প্রান্ত হলো প্রায় ৭০কিমির ও বেশি রাস্তা। তাই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে পুলিশ আরও ভালো পরিষেবা দেবে জনগণকে। এবং মাঝে মাঝেই নন্দীগ্রামে পলিটিক্যাল সমস্যা হচ্ছে, সেই সব মেটাতেই শিল্পাঞ্চল থেকে আলাদা করে একজন বিশেষ আধিকারিক রাখা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল কাজের সুবিধার্থে তাই এমন সিদ্ধান্ত।’