CPIM: ‘বর্তমান সরকারও উদ্যোগী হয়েছে’, তাজপুর বন্দর নিয়ে মমতার সরকারের ‘পাশে দাঁড়াবে’ CPIM!
Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুর সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আশীস প্রামাণিক বলেন, 'রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে গতি আনতে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ছিল বামফ্রন্ট সরকারের।'
তাজপুর: তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ দিল বামফ্রন্ট। এর আগে দেউচা পচামি সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেখানে সাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে সেই প্রকল্পের পাশে ছিল রাজ্যের অপর বিরোধীদল সিপিএম। তবে তাজপুর বন্দর তৈরি হওয়াকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুর সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আশীস প্রামাণিক বলেন, ‘রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে গতি আনতে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ছিল বামফ্রন্ট সরকারের। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে পালাবদলের পর বর্তমান রাজ্য সরকারও উদ্যোগী হয় তাজপুরে বন্দর গড়ে তুলতে। তাদেরকে সাধুবাদ জানাই যদি প্রকৃত পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো দিয়ে শিল্প গড়া হয়। আমরাও সেই উন্নয়নের সামিল হতে চাই। যদি সঠিকভাবে দুর্নীতি চুরি না করে বেকার যুবক যুবতীদের স্বার্থে এই কর্মযজ্ঞ হয়।’
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তাজপুরে কোনও দিন বন্দর হবে না মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। বন্দর করতে পাঁচ হাজার একর জায়গা, ফোর লেন রাস্তা ও রেল লাইন করতে হবে। আগে জায়গা পাক তারপর তো বন্দর গড়ে উঠবে। এই সরকারের হাতে কোনও ল্যান্ড ব্যাঙ্ক নেই। আমি জানি এই সরকার জমি কোথাও দিতে পারবে না। অধিগ্রহণ তো দূরের কথা। সাড়ে ১১ বছরে তিনি একটাও ইন্ডাস্ট্রি উদ্বোধন করতে পারেননি, আর ভবিষ্যতেও পারবেন না।’
এই বিষয়ে রামনগর ১পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তাজপুর বন্দর গোটা রাজ্যের অর্থনীতিকে বদলে দেবে। তাজপুর বন্দর কাছে স্বপ্নের মতো। বন্দর হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। জলপথ, রেলপথ ও সড়কপথের সমন্বয় ঘটবে। বহু মানুষের কাজের সুযোগ হবে। এলাকার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।’