Khejuri: রাজনৈতিক নয়, রঙিন খেলায় মেতেছিলেন খেজুরির তৃণমূল কর্মী, আর তাতেই তো গুনতে হল মাশুল
Khejuri: গত ২ জানুয়ারি রাতে শম্ভু দাসকে বাড়িতে ডেকে পাঠান তনুশ্রী। বাড়িতে আগে থেকে লুকিয়ে বসে ছিলেন রবীন। তনুশ্রীর বাড়িতেই খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
খেজুরি: খেজুরির তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার রহস্য ভেদ! নেপথ্যে সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! খেজুরিতে যুবকের খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করল পুলিশ। এই ঘটনায় ওই তৃণমূল কর্মীর বন্ধুকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তালপাটি উপকূল থানার পুলিশ মৃত যুবকের বন্ধু রবীন কাণ্ডারকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি খেজুরি গ্রামেই।
গত ৩ জানুয়ারি খেজুরি ২ ব্লকের জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভাঙ্গনমারি গ্রামের শম্ভু দাসের( ৪২) রক্তাক্ত দেহ পুকুরে ভেসে ওঠে। শম্ভু ছিলেন পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা উৎপল দেবদাসের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে এই খুনকে রাজনৈতিকভাবে দেখা হচ্ছিল। শম্ভু দাসের স্ত্রী পার্বতী তালপাটি উপকূল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উৎপল দাসের স্ত্রী তনুশ্রী দেবদাস নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তনুশ্রী দেবদাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারে পুলিশ। খুনের মূল ষড়যন্ত্রী উঠে আসে তনুশ্রীরই আরেক প্রেমিক রবীনের নাম। অর্থাৎ পুলিশ জানতে পেরেছে, তনুশ্রীর স্বামী কর্মসূত্রে কেরলে থাকেন। তনুশ্রীর সঙ্গে আগে থেকেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শম্ভুর। ইদানীং তনুশ্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রবীনের। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। আর তার জেরেই খুন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
গত ২ জানুয়ারি রাতে শম্ভু দাসকে বাড়িতে ডেকে পাঠান তনুশ্রী। বাড়িতে আগে থেকে লুকিয়ে বসে ছিলেন রবীন। তনুশ্রীর বাড়িতেই খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।