Kunal Ghosh: ‘দিব্যেন্দুর স্ত্রীকে দিয়ে শুরু করুন’, শান্তিকুঞ্জের মহিলা ভোট তৃণমূলে টানতে বিশেষ বার্তা কুণালের

Kunal Ghosh: বিরোধীদের বাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের মহিলা ভোট শাসক দলের দিকে টেনে আনা যায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। আর এই প্রচার শান্তিকুঞ্জে দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীর কাছ থেকেই শুরু করার জন্য বঙ্গজননী বাহিনীর কাছে আবেদন জানালেন তিনি।

Kunal Ghosh: 'দিব্যেন্দুর স্ত্রীকে দিয়ে শুরু করুন', শান্তিকুঞ্জের মহিলা ভোট তৃণমূলে টানতে বিশেষ বার্তা কুণালের
কুণাল ঘোষ। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 1:39 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আর বাংলার নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেন মহিলা ভোটাররা। রাজ্যের প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটার মহিলা। সংখ্যায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি। আর এই মহিলা ভোটব্যাঙ্কের উপর দখল ধরে রাখতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বঙ্গজননী বাহিনীকে বিশেষ দায়িত্ব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে বললেন। এমনকী বিরোধীদের বাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের মহিলা ভোট শাসক দলের দিকে টেনে আনা যায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। আর এই প্রচার শান্তিকুঞ্জে দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীর কাছ থেকেই শুরু করার জন্য বঙ্গজননী বাহিনীর কাছে আবেদন জানালেন তিনি।

কুণাল ঘোষ বললেন, “যাঁরা আমাদের ভোট দেননি বলে পরিচিত, তাঁদের থেকে দূরে যাবেন না। তাঁদের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলুন। মহিলারা বেশি করে দায়িত্ব নিন। কারণ, বাড়ির ভিতর ঢুকে ওদের ভোটটা বের করে আনতে হবে। দিব্যেন্দু অধিকারীর বউকে দিয়ে শুরু করুন।”

Kunal in Contai

চা চক্রে কুণাল ঘোষ

এদিন সকালে এক চা চক্র থেকে এই বার্তাই দিলেন কুণাল ঘোষ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য শান্তিকুঞ্জের প্রসঙ্গটিকে একটি ‘প্রতীকী কথা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বললেন, “ওটা তো একটা প্রতীকী কথা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেগুলির মাধ্যমে মহিলারা দারুনভাবে উপকৃত হন, সেগুলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের চিহ্নিত পরিবার, তাঁদের কাছেও যেমন যাবেন, তৃণমূলের বর্ষীয়ানদের কাছেও যেমন যাবেন, তেমন যাঁরা একটু দ্বিধার রাজনীতির মধ্যে পড়ে রয়েছেন, তাঁদের কাছেও যাবেন। সেটি আমি কথায় কথায় বলেছি। আমি যেটুকু শুনেছি দিব্যেন্দুর স্ত্রীও অত্যন্ত যুক্তিসম্মত কথাবার্তা শোনেন। তিনিও তো একজন সাংসদের স্ত্রী। শিশিরবাবুর স্ত্রীও একজন সাংসদের স্ত্রী। তাহলে আমাদের মহিলারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পগুলি বোঝাবেন। শুধু তো তাঁরা নন, এটা একটি প্রতীকী, একেবারে সাংসদ থেকে শুরু করে পাড়ার মহিলারা, সকলের কাছে গিয়ে তাঁরা বোঝাবেন।”

Kunal in Purba Medinipur

চা চক্রে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা কুণালের

কুণালবাবুর দাবি, এর মধ্যে কোনও ঝগড়া নেই, কোনও কটাক্ষ নেই, এটি একটি কর্মসূচি। সঙ্গে তিনি এও বলেন, “তাঁরা আমাদের দলের প্রতীকে নির্বাচিত। ফলে আমাদের দলের মহিলা কর্মীরা বা বঙ্গজননী যদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে কী অন্যায় আছে? তাঁরাও তো কাঁথির মহিলা এবং সম্মানীয়। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধাগুলি পাচ্ছেন কি না… মহল্লায় যেমন যাওয়া হবে, তেমনই জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতেও যাওয়া হবে। এতে কী অন্যায় আছে? তাঁরা কেউ দলের পতাকা নিয়ে যাচ্ছেন না, প্রকল্পগুলি নিয়ে যাচ্ছেন।”

যদিও কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ওনার কথার কোনও গুরুত্ব নেই। ওনার কথার কোন উত্তর দেব না। উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন।”