Kanthi: অভিষেকের ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৈঠকে জেলা সভাপতি, পদত্যাগ অঞ্চল সভাপতির

Kanthi: রবিবার কাঁথি ৩ প্রশাসনিক ভবনে মারিশদা ৫ নম্বর অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান সহ মারিশদা অঞ্চলের সভাপতি গৌতম মিশ্র বৈঠক করেন। ছিলেন জেলা সভাপতিও।

Kanthi: অভিষেকের ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৈঠকে জেলা সভাপতি, পদত্যাগ অঞ্চল সভাপতির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 5:17 PM

মারিশদা: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান, উপ-প্রধান-সহ অঞ্চল সভাপতিকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। ‘ডেডলাইনের’ ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই কাজ। জরুরি বৈঠক করলেন জেলা সভাপতি। পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন অঞ্চল সভাপতি। সহজ কথায়, অভিষেকের মারিশদা (Marishda) সফরের পর বিপাকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অভিযোগ পেয়ে হাতেনাতে অ্যাকশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারিশদা ৫ নম্বর অঞ্চলের দলীয় প্রধান এবং উপপ্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দেন তৃণমূলের সেনাপতি। এরপরই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠক করেন জেলা সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি।

রবিবার কাঁথি ৩ প্রশাসনিক ভবনে মারিশদা ৫ নম্বর অঞ্চলের প্রধান, উপ-প্রধান-সহ মারিশদা অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র বৈঠক করেন। ছিলেন জেলা সভাপতিও। সকাল থেকে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে অভিষেকের নির্দেশ যে অক্ষরে অক্ষরে মানা হবে তা বলে জানিয়ে দেন এগরার বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্য আমরা পাঠাব। সম্মানীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে সবটাই গ্রহণ করা হবে। আজকে ছুটির দিন। কাল থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ওই এলাকা থেকে যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সে গুলিও যথাসময়ে আমরা পাঠিয়ে দেব।” 

মারিশদার মানুষের অভাব-অভিযোগ কথা শুনে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শনিবার অভিষেক বলেন, “একটা পঞ্চায়েতে যদি কাজ না হয়, যদি প্রধান দায়ী থাকে তবে তার জন্য অঞ্চল সভাপতিও দায়ী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আর উপপ্রধানের ইস্তফাপত্র আমার টেবিলে চাই। আর যদি না আনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা আমরা নেব। আমি পরিষ্কারভাবে বলছি প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি পদত্যাগ করবেন।” জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল যে নির্দেশ দিয়েছেন তা দলের অনুগত সৈনিক হিসাবে আমি জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছি। আমরা তৃণমূল একটা পরিবার। অভিষেক আমাদের অভিভাবক। স্বাভাবিকভাবে ছেলেমেয়েরা ভুল করলে যেমন বাবা-মায়েরা বকা দেন, তাদের শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেন নিশ্চিতভাবে আমাদের পরিবারেও অভিষেকও অভিভাবক। আমার কাজে যদি কোনও ভুল থাকে, তিনি তা বলতে পারেন। তাই তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটাই শিরোধার্য।” কিন্তু পদত্যাগ কী করেছেন প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল? প্রশ্ন শুনে তাঁর উত্তর, “আমার শরীর খারাপ লাগছে।”