Soumendu Adhikari: কাঁথির শ্মশান দুর্নীতিতে জড়াল শুভেন্দু অধিকারীর ভাইয়ের নাম, গ্রেফতার ২
Soumendu Adhikari: কাঁথি পুরসভার শ্মশান সংলগ্ন রাঙমাটি স্টল নির্মাণ নিয়ে কোটি টাকা দুর্নীতি! তদন্তে জেলা পুলিশ আধিকারিকরা।
কাঁথি: কাঁথি পুরসভার(Kanthi Municipality) শ্মশান সংলগ্ন রাঙমাটি স্টল নির্মাণে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির(Corruption) অভিযোগ উঠেছিল বিগত পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর(Soumendu Adhikari) সহ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে। ইতিমধ্যেই, বর্তমান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ শে জুন কাঁথি থানায় (Contai Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে ঠিকাদার সতিনাথ দাস অধিকারী ও কাঁথি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতও হয়।
এদিকে এই দুর্নীতিতে নাম উঠে আসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বর্তমান কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা সৌমেন্দু অধিকারী। সৌমেন্দু অধিকারীর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই আবার আইনজীবী মারফত কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনেরও আবেদন করেছেন সৌমেন্দু। অবশেষে পুনরায় বৃহস্পতিবার আবারও পুরসভার ঠিকাদার ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার কাঁথি আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এদিন কাঁথি আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উমা ব্যানার্জি সিংহ রায় এজলাসে মামলা ওঠে। কাঁথি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে পুনরায় হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় বিচারক বেরাকে ফের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে পুরসভার ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারীকে ২ হাজার টাকার বণ্ডে জামিনে মুক্তি দেন। তবে যতদিন মামলা চলবে সপ্তাহে একবার করে কাঁথি থানায় হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী বলেন, “আমি নির্দোষ ছিলাম। আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তাই আদালত জামিন দিল।” তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছিল। আদালত জামিনে মুক্তি দিয়েছে। আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” ঘটনা প্রসঙ্গে, কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন “ঘটনা তদন্ত চলছে। তদন্তের কারণে আবারও একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।