Purba Medinipur: টেন্ডার কেলেঙ্কারিতে কোটি কোটির দুর্নীতি? উত্তর খুঁজতে আরও তৎপর নন্দকুমার থানা
Tender Scam: হাইকোর্টের নির্দেশের পর আবার নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে নন্দকুমার থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চঞ্চল নন্দীকে আবারও নোটিস পাঠাতে চলেছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর: টেন্ডার কেলেঙ্কারি (Tender Scam) মামলায় চঞ্চল নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা য়াবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই টেন্ডার কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই মামলায় আগেও একবার পুলিশের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছিল চঞ্চল নন্দীকে। কিন্তু নোটিসের জবাব না দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চঞ্চল। এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর আবার নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে নন্দকুমার থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চঞ্চল নন্দীকে আবারও নোটিস পাঠাতে চলেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ। নন্দকুমার থানা সূত্রে খবর, নন্দকুমার ব্লকের কোলসর এলাকার বাসিন্দা সুনীল মণ্ডল নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেচ বিভাগের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অনীশ ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল হুমকি, তোলাবাজি এবং জোর করে জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দকুমার থানা তদন্ত করে গত ২৫ মার্চ অনীশ ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরার সময়ে পুলিশের হাতে উঠে আসে এই চঞ্চল নন্দীর নাম। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনীশ ঘোষ।
নন্দকুমার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অনীশ ঘোষের মুখে চঞ্চল নন্দীর নাম উঠে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নোটিস করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিসের জবাব না দিয়েই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে। কিন্তু সেই মামলায় পুলিশের পক্ষেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে চঞ্চল নন্দীকে এবং প্রয়োজন হলে গ্রেফতারও করতে পারবে। এরপরই আবার নতুন করে তৎপরতা পুলিশের মধ্যে।
উল্লেখ্য, সেচ বিভাগের একাধিক টেন্ডারের বরাত মোটা টাকার বিনিময় ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল অনীশ ঘোষের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে নাম জড়ায় চঞ্চল নন্দীরও। সেই সব সূত্র ধরেই চঞ্চলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।