Digha: এই সর্বনাশের জন্যই কি দিঘায় যাওয়া? কপাল চাপড়াচ্ছে টিটাগড়ের পরিবার
kamarhati: উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের কামারহাটি এলাকা থেকে একটি পরিবার দিঘায় বেড়াতে যায়। সোমবারই সৈকত শহরে যায় তারা। ক্ষণিকের বিশ্রাম শেষে নিউ দিঘায় সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসে পরিবারের সকলে। অভিযোগ, গার্ডওয়াল পার করে সমুদ্রের ভয়াল সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
পূর্ব মেদিনীপুর: পর পর দু’দিনে দুই পর্যটকের মৃত্যু দিঘায়। রবিবার সমুদ্রে তলিয়ে যান ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের এক যুবক। সোমবার সোদপুরের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয় দিঘায়। কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? শুধুই কি উত্তাল সমুদ্র, জলোচ্ছ্বাস এর কারণ। নাকি মানুষের উচ্ছ্বাসের জোয়ারও বিপদ ডেকে আনছে, প্রশ্ন তুলছে পর্যটকদেরউই একাংশ।
উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের কামারহাটি এলাকা থেকে একটি পরিবার দিঘায় বেড়াতে যায়। সোমবারই সৈকত শহরে যায় তারা। ক্ষণিকের বিশ্রাম শেষে নিউ দিঘায় সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসে পরিবারের সকলে। অভিযোগ, গার্ডওয়াল পার করে সমুদ্রের ভয়াল সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। নিউ দিঘার হলিডে হোম ঘাটে জোয়ারের সময় গার্ডওয়াল টপকে পাথরে বসেছিলেন। তাতেই সর্বনাশ হল।
সেই সময় বিশাল বিশাল ঢেউ আসছিল। তাতেই আকাশ সাহা (৩০) নামে এক যুবক উল্টে পড়ে গুরুতর আহত হন। কর্তব্যরত নুলিয়ারা দেখে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রবিবার সি-হক গোলা ঘাটের কাছে স্নান করতে নেমেছিলেন ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের দীপঙ্কর নন্দী নামে ২৮ বছর বয়সি এক যুবক। সেই সময় জোয়ার চলছিল। ফলে সমুদ্রও ফুলে ফেঁপে ওঠে। দীপঙ্করের সঙ্গে দিঘায় আসা এক প্রতিবেশি বলেন, “আমরা সকলে স্নান করতে গিয়েছিলাম। ঢেউ যেখানে প্রবল ছিল, ও আসতে আসতে সেখানে চলে যায়। এদিকে এত বড় বড় ঢেউ আসছিল, ও আর নিজেকে সামলাতে পারেনি। ঢেউ টেনে নিয়ে চলে যায়।”