Purba Medinipur: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় শোভা পাবে বাংলার পটচিত্র, দুর্গাকে সাজিয়ে তুলছেন চণ্ডীপুরের নুরুদ্দিনরা
Purba Medinipur: ডাক এসেছিল অনেক আগেই। তারপরই গত ১৮ জুলাই থেকে পটচিত্র আঁকার কাজ শুরু করেন বাংলার চিত্রকরেরা। বেঁধে দেওয়া হয়েছে টার্গেট। আগামী ১ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে কাজ।
চন্ডীপুর: হাতে আর মাত্র কটা দিন। ইতিমধ্য়েই গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতো ১৫ অগস্ট দিল্লিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে লালকেল্লাও। এবার লালকেল্লার গেটে থাকতে চলেছে বাংলার ছোঁয়া। থাকবে দুর্গার পটচিত্র। ষাট ফুট দীর্ঘ ও কুড়ি ফুট চওড়া এই পটচিত্রটিতে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, মহিষাসুর সবারই দেখা মিলবে। ফুটে উঠবে সাবেকি দুর্গাপ্রতিমার চেনা ছবি। সেই ছবিই আঁকছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের হবিচক গ্রামের বিশিষ্ট চিত্রকর নুরুদ্দিন। সঙ্গে রয়েছেন আরও ১০ জন।
ডাক এসেছিল অনেক আগেই। তারপরই গত ১৮ জুলাই থেকে পটচিত্র আঁকার কাজ শুরু করেন বাংলার চিত্রকরেরা। বেঁধে দেওয়া হয়েছে টার্গেট। আগামী ১ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে কাজ। তাই এখন ফিনিসিং টাচ দিতে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন নুরুদ্দিনরা। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী কল্পনা চিত্রকর, মুসলেম চিত্রকর, মোমেনা চিত্রকর, চিন্টু চিত্রকর, মুক্তার চিত্রকর, বাপ্পা চিত্রকর, রোজিতা চিত্রকররা। প্রত্যেকেই জেলার নাম করা চিত্র শিল্পী। পেয়েছেন নানা পুরষ্কারও। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান তাঁর স্ত্রী কল্পনা চিত্রকর। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান নুরুদ্দিন নিজেও।
নুরুদ্দিন তো ছবি আঁকছেন প্রায় তিন দশক ধরে। হাতে তুলে ধরেছিলেন দশ বছর বয়সে। তারপর থেকেই এটাই পেশা, এটাই নেশা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পটচিত্র আঁকার সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি তিনি। বলছেন, “এটা তো আমাদের কাছএ খুবই গর্বের বিষয়। পশ্চিম বাংলার পটচিত্র স্থান পাচ্ছে দিল্লিতে। জায়গা করে নিচ্ছে লালকেল্লায়। সেই পটচিত্র এবার দেখতে পাবেন গোটা বিশ্বের মানুষ। এই কাজে সামিল হতে পারা খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার।”