মাতঙ্গিনীর মূর্তিতে মাল্যদান তমলুকে, সেখানেও উঠল ‘গদ্দার হঠাও’ স্লোগান
Tamluk: সোমবার ৯ অগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস উপলক্ষে বেনেপুকুরে বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। একই কর্মসূচি নেয় বিজেপিও।
পূর্ব মেদিনীপুর: একদিকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনি। অন্যদিকে ‘গদ্দার হঠাও’ স্লোগান। দুইয়ের মিশেলে সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল তমলুকে। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান পর্বেও রাজনীতির উস্কানির অভিযোগ উঠল বেনেপুকুর এলাকায়। যদিও বিজেপি বা তৃণমূলের তরফে দাবি, এখানে কোনও বিশৃঙ্খলার প্রশ্নই নেই। ঐতিহাসিক দিন। সকলেই নিজেদের মতো করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
সোমবার ৯ অগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস উপলক্ষে বেনেপুকুরে বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। একই কর্মসূচি নেয় বিজেপিও। বেলা ১২টা নাগাদ সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মিনিট দশেক পরই সেখানে যান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল করে মাতঙ্গিনীর মূর্তির দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। হাতে তেরঙা জাতীয় পতাকা, গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মাথায় পদ্মফুল আঁকা টুপি পরে এগিয়ে চলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
সেখানেই তৃণমূল-বিজেপির সমর্থকরা মুখোমুখি হতেই স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু হয়। অভিযোগ, ভিড়ের মধ্যেই স্লোগান ওঠে ‘গদ্দার হঠাও’। এই স্লোগান যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন সামনে দিয়ে গাড়িতে বেরিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়েই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এই কর্মসূচি ঘিরে যেহেতু তমলুক থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল, তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, দুই পক্ষ এক সঙ্গে হওয়ায় এই ঘটনা। কোনও বিশৃঙ্খলার ঘটনাই ঘটেনি। একই বক্তব্য তৃণমূলের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রেরও। আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলগুলির কী অবস্থা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের