Purbo Bardhaman Suicide: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
Purbo Bardhaman Suicide: মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ সাবিত্রী জানা (৫৫) বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। পরিবারের লোকেরাও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানেই মা ও ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ঘোলপুকুর গ্রামে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জনেই। মৃতদের নাম কৃষ্ণেন্দু জানা (২১) ও সাবিত্রী জানা (৫৫)। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ সাবিত্রী জানা (৫৫) বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। পরিবারের লোকেরাও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার মা ও ছেলে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণেন্দু কলকাতার ফুটপাতে সবজি বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে সবজি বিক্রি করেই সংসার চালাতেন তিনি। রবিবার বিকালে বাড়ির শোওয়ার ঘরেই কৃষ্ণেন্দুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিল দেহটি। প্রতিবেশীদের মারফত খবর যায় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
খবর পেয়ে কৃষ্ণেন্দুর মামারবাড়ির সদস্যরাও তাঁর বাড়িতে চলে আসেন। ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন মা। রাতভর তাঁকে দেখেশুনে রেখেছিলেন তাঁর বাপেরবাড়ির সদস্যরা। সোমবার সকালে বাপেরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র চলে যান। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, কৃষ্ণেন্দুর মা ঘরের ভেতরে কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি দ্রুত উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরপর দু’জন আত্মঘাতী হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃত সাবিত্রীর ভাসুর আশিস জানা বলেন ” রবিবার ভাইপো কৃষ্ণেন্দু জানা আত্মঘাতী হয়েছেন৷ এমনিতে বৌমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পুত্রশোক নিতে পারেননি।”
প্রতিবেশী তাপসী মণ্ডল বলেন ” সকালে চা বিস্কুট খেয়েছেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা মাঠে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন গলায় দড়ি দিয়েছেন। পুলিশি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”