Student Death: রাত সাড়ে ৩ টেয় হস্টেলের বাথরুমে যায় রাহুল, সকাল হতেই সব শেষ! কী এমন হয়েছিল?

Student Death: পরিবারের তরফে অভিযোগ, স্কুলের পক্ষ থেকে যদি ঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত, তাহলে এভাবে ওই ছাত্রকে চলে যেতে হত না।

Student Death: রাত সাড়ে ৩ টেয় হস্টেলের বাথরুমে যায় রাহুল, সকাল হতেই সব শেষ! কী এমন হয়েছিল?
স্কুলে ছাত্রের মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2022 | 6:19 PM

মহিষাদল: রাতেও বন্ধুর সঙ্গে বাথরুমে গিয়েছিল ছাত্র। কিন্তু সকালে খেলার মাঠে গরহাজির দেখেই তৎপর হন শিক্ষকেরা। হস্টেলের ঘরে তখন অচৈতণ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল গিরি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কী কারণে তার মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়। পরিবারের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। মহিষাদলের একটি স্কুলের ঘটনা। মৃত ছাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের সাওড়াবেড়িয়া জালপাই গ্রামের বাসিন্দা। ১৬ বছরের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্কুলে।

জহর নবোদয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল রাহুল গিরি। হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত সে। শুক্রবার সকালে স্কুলের মাঠে যখন সব ছাত্ররা খেলার জন্য উপস্থিত হয়, তখন রাহুলকে সেখানে দেখা যায়নি। পড়ুয়ারা শিক্ষককে জানায়, রাহুল অসুস্থ বোধ করছে, তাই মাঠে আসতে পারেনি। এ কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হস্টেলের নার্সকে পাঠানো হয় বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। নার্স গিয়ে দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছাত্র। এরপরই তাকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান শিক্ষকেরা। এরপর খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। পড়ুয়ার বাবা জানান, তাঁর ছেলের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না।

স্কুলের শিক্ষক সৌমেন মুখোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সকল ছাত্রের সঙ্গে রাহুলেরও হাজিরা নেওয়া হয়েছিল। রেজিস্ট্রার খাতায় সইও করেছিল সে। এরপর রাত ১১ টার সময় নিয়ম মতো হস্টেলে ভিজিট হয়, সেই সময় রাহুলই ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি শিক্ষকের। তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ৩ টের সময় অন্য এক পড়ুয়ার সঙ্গে বাথরুমে গিয়েছিল রাহুল। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। মৃত্যুর কারণ নিয়ো কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তাঁর অনুমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে রাহুল।

রাহুলের বাবা অমলকুমার গিরি জানান, সকাল ৬ টার সময় তাঁকে স্কুল থেকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর ছেলে অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দাবি, স্কুলেই মারা যায় রাহুল। তাঁর দাবি, সঠিক চিকিৎসা পেলে এ ভাবে চলে যেতে হত না রাহুলকে।