Mid Day Meal: ডাল ভাত নয়, মিড ডে মিলে পিঠে পুলি খেয়ে বেজায় খুশি মন্তেশ্বরের খুদেরা

Mid Day Meal: কখনও মিড ডে মিলে পচা খাবার, কখনও টিকটকি উদ্ধারের ছবি দেখেছে বাংলা। আবার একেবারে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উঠেছে মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ। সেখানে পড়ুয়াদের পাতে পিঠে পুলি দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকে।

Mid Day Meal: ডাল ভাত নয়, মিড ডে মিলে পিঠে পুলি খেয়ে বেজায় খুশি মন্তেশ্বরের খুদেরা
স্কুলেই পিঠে পুলি উৎসব Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2024 | 12:04 PM

মন্তেশ্বর: রোজকার ডিম ভাত তো ছিলই। এবার মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) পড়ুয়ারা খেল পিঠে পুলি আর পায়েস। মিড ডে মিলের এক ঘেরে খাবার ছেড়ে শীতের চাদর গায়ে দিয়ে পিঠে পুলির মতো সুস্বাদু পদ পেয়ে খুশি পড়ুয়ার দল। এই ছবিই দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের জয়রামপুর ত্রিপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাসে মিড ডি মিলে অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার লাগাতার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। কখনও মিড ডে মিলে পচা খাবার, কখনও টিকটকি উদ্ধারের ছবি দেখেছে বাংলা। আবার একেবারে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উঠেছে মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ। সেখানে পড়ুয়াদের পাতে পিঠে পুলি দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকে। সাধুবাদও জানাচ্ছেন জয়রামপুর ত্রিপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। 

তবে শুধু মিড ডে মিলে পিঠেপুলি খাওয়ানো হল এমনটা নয়, স্কুলেই আবার পিঠেপুলি উৎসবও পালন নয়। যে এলাকায় এই স্কুলে সেখানে প্রায় সব বাড়িতেই দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। অনেকেরই সামার্থ্য নেই শীতে আলাদা করে বাড়িতে পিঠে বা পায়েস বানানোর। সূত্রের খবর, সে কারণেই স্কুলে পিঠে পুলি বানানোর সিদ্ধান্ত। শীতের মরসুমে যাতে কচিকাচাদের একটু মিষ্টিমুখ করানো যায় সে কারণেই এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে। 

স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা মহিলালরাই তৈরি করেন পিঠে পুলি। চাল গুড়ো, ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয় পিঠে পায়েস। উদ্যোগে সামিল হয়ে খুশি রাঁধুনিরাও। একজন তো বললেন, “পৌষ মাসে এটা আমরা করি। বলতে পারেন উৎসব। মিড ডে মিলে ওরা রোজই তো একই খাবার খায়, তাই এদিন একটু অন্যরকম করার চেষ্টা। ওদের আনন্দ দিতেই এই উদ্যোগ। এটা করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধূসূদন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রত্যেক বছরই পৌষমাসে এটা করে থাকি। এটা গরিব এলাকা। সবার বাড়িতে পিঠে করার সামর্থ্য নেই। কিন্তু, পরম্পরা ধরে রাখতেই আমরা এটা করি। পিঠে পুলি উৎসবে সামিল হতে পারে খুশি পড়ুয়ারাও। আমাদের স্কুলে শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে। সকলেই খুব খুশি।”