Vice President Election: ভোট দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, ফের শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি সুদীপের
TMC : সূত্রের খবর এরপরও ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল যে সেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত, সেই কথাই শনিবার পৃথক পৃথক চিঠি মারফত শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে জানালেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাঁথি : শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে ফের চিঠি পাঠালেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বাবু এর আগেও একবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদকে। চিঠিতে জানিয়েছিলেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন ৪ অগস্ট। কিন্তু, সূত্রের খবর এরপরও ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল যে সেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত, সেই কথাই শনিবার পৃথক পৃথক চিঠি মারফত শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে জানালেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানার পরেও কেন তাঁরা ভোটদানে অংশ নেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শান্তিকুঞ্জের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু খাতায় কলমে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তৃণমূলের টিকিটে জিতেই সাংসদ হয়েছিলেন তাঁরা। দলের সঙ্গে সম্পর্ক বলতে এখন শুধু ওই তৃণমূলের টিকিটে যেতা সাংসদ পদটুকুই। তৃণমূলের কোনও কর্মসূচি থেকে এখন অধিকারী সাংসদরা বহু ক্রোশ দূরে। এমন পরিস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার যে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নিয়েছিল, তা চিঠি মারফত শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শনিবার আরও একবার পৃথক পৃথক চিঠি দিয়েছেন সুদীপ বাবু। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, দল খেয়াল করেছে যে তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৈঠকে ব্যস্ত আছেন। এখনও কোনও চিঠি তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি। চিঠি হাতে পেলে বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি অধিকারী সাংসদরা। তবে গতকাল TV9 বাংলার তরফে বিষয়টি নিয়ে অধিকারী সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।