CPIM Sujan Chakraborty: ‘লাল ঝান্ডা মুছে দেওয়ার ক্ষমতা মোদী-মমতার নেই’, কাঁথিতে হুঙ্কার সুজনের
CPIM in Purba Medinipur: বৃহস্পতিবারের এই কর্মসূচি থেকে রাজ্যের শাসক শিবিরকে একহাত নেন সুজন চক্রবর্তী। একযোগে আক্রমণ শানান বিজেপিকেও।
কাঁথি: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের বামেদের (CPIM) শক্তি প্রদর্শন। লাল ঝান্ডা নিয়ে হাজির দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দেশপ্রাণ ব্লকে সিপিএম-এর একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। দেশপ্রাণ নামালডিহা থেকে শুনিয়া নেতাজি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার মিছিল করে বামেরা। বৃহস্পতিবারের ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, অনাদি সাহু ও সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস সহ অন্যান্যরাও।
বৃহস্পতিবারের এই কর্মসূচি থেকে রাজ্যের শাসক শিবিরকে একহাত নেন সুজন চক্রবর্তী। একযোগে আক্রমণ শানান বিজেপিকেও। বললেন, “দিদির সুরক্ষা কবচের দূত হয়ে তৃণমূল নেতারা এলাকায় গেলে তাড়া খাচ্ছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় রাজ্যের সব জায়গায় এক পরিস্থিতি। অপেক্ষা করুন তৃণমূল নেতারা, আর তৃণমূল থেকে যাওয়া বিজেপি নেতারা মানুষের কাছে ঘাড় ধাক্কা খাবে। লাল ঝান্ডা মুছে দেওয়ার ক্ষমতা নরেন্দ্র মোদী,অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়নি।”
যদিও সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। বামেদের ভোটব্যাঙ্ক কমে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষের সুরে সুজন চক্রবর্তীকে তাঁর পরামর্শ, সিপিএমের যে ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে, আগে সেটি যেন তিনি পুনরুদ্ধার করেন। বললেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, তারা তলায় তলায় বিজেপিকে মদত করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা থেকে পর্যুদস্ত করার চক্রান্তে তাঁরাও সামিল ছিলেন। তাদের ভোট শতাংশ এক বছরের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল লাল বাহিনী।” অতীতে ৩৪ বছরের বাম শাসনকালে রাজ্যের পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন সুপ্রকাশ গিরি।
বিজেপির জেলা সহসভাপতি অসীম মিশ্রও সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে সিপিএমকে জীবাশ্মের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলছেন, “রাজ্য রাজনীতিতে জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া একটি রাজনৈতিক দলকে জল ছিটিয়ে শাসক দলের লোকেরা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওদের চেহারা, ওদের স্বরূপ মানুষ জানে।”