Digha : দিঘায় কলকাতার কলেজের ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

Digha :মোবাইলের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ; কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা।

Digha : দিঘায় কলকাতার কলেজের ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 6:35 PM

কাঁথি : মোবাইল, গয়না কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ জেলার তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদের এক ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। এমনকী সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগও উঠেছে ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফের দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যেই এই মর্মে কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় ওই ছাত্র নেতার আরও দুই সঙ্গী। নির্যাতিত ছাত্রী কলকাতার (Kolkata) একটি কলেজে সম্প্রতি কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই দামি জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দেখা করে। গত বছরের শেষে ওই নাবালিকাকে নিউ দিঘার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে। 

এমনকী ধর্ষণের পরে যাতে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সে কারণে তাকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর থেকে নির্যাতিতার বাড়িতে লাগাতার হুমকি ফোন আসছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। এমমকী লোক পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে হুমকি। 

ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতার সঙ্গে দলের অনেক উচ্চতর নেতৃত্বের ছবিও রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেও দেখেছি। আমি চাই অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”  

শোরগোল শুরু হলেও ঘটনার কথা জানেন না বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরা। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি আপনাদের তরফ থেকে প্রথম শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির কাঁথি নগর মণ্ডলের সভাপতি সুশীল দাস বলেন, “রাজ্যব্যাপী এটাই চলছে। উত্তর প্রদেশে যেখানে সোজাসুজি ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হচ্ছে সেখানে বাংলায় ধর্ষকরা সাজা পাচ্ছে না।”