Cooperation Society Vote: ফের সমবায় নির্বাচনে ধরাশায়ী রাম-বাম জোট, এবার পটাশপুর

Cooperation Society Vote: আড়গোয়াল পল্লীশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১৪টি আসনের মধ্যে ৪টি আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিতেছিল তৃণমূল। বাকি ১০টি আসনে আজ জেতে ঘাসফুল শিবির।

Cooperation Society Vote: ফের সমবায় নির্বাচনে ধরাশায়ী রাম-বাম জোট, এবার পটাশপুর
ফের তৃণমূলের জয়জয়াকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2023 | 11:25 PM

পটাশপুর: পূর্ব মেদিনীপুরে আরও একটি সমবায় নির্বাচনে (Cooperative Vote) সবুজ ঝড়। শাসকদলের (TMC) কাছে পরাজিত হল রাম-বাম জোট। পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের আড়গোয়াল পল্লীশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১৪টি আসনেই জয়লাভ করল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। কাজে এল না ‘নন্দকুমার মডেল’। তবে শাসকদলের এই জয়কে গুরুত্ব দিতে চাইল না বিজেপি। তাদের অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস করে জিতেছে তৃণমূল।

আড়গোয়াল পল্লীশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১৪টি আসনের মধ্যে ৪টি আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিতেছিল তৃণমূল। বাকি ১০টি আসনের জন্য আজ সকাল ১০টায় ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়া। এই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট ভোটার ৮৮২ জন। ভোট গণনা হলে দেখা যায়, বাকি ১০টি আসনেই জয়লাভ করেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।

শাসকদলকে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গত বছরের ৯ নভেম্বর নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-র নির্বাচনে জোট গড়েছিল বাম-বিজেপি। নন্দকুমারে জিতেছিল বিরোধীদের সেই জোট। তারপর থেকে একাধিক সমবায় নির্বাচনে নন্দকুমার মডেলে জোট গড়ে বাম-বিজেপি। কিন্তু, বিভিন্ন জায়গায় সেই জোট শাসকদলের কাছে পর্যুদস্ত হয়। মঙ্গলবারই এগরা ১ নম্বর ব্লকের নেগুয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল। ১২টি আসনের সবগুলিতে জেতেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

আজও সেই ছবিই ধরা পড়ল। এদিন জয়লাভের পর ঘাসফুল শিবিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। একে অপরকে সবুজ আবিরে রাঙিয়ে দেন। সমবায়ে এই জয় নিয়ে আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান অপরেশ সাঁতরা বলেন, মানুষ বাম-বিজেপির জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই ফলের প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

অন্যদিকে, তৃণমূলের এই জয়কে গুরুত্ব দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সত্যজিৎ নন্দ গোস্বামী বলেন, “সমবায় নির্বাচন হোক কিংবা স্কুলের নির্বাচন, এই সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে না। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে মানুষ আমাদের ভোট দিতেন। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। বিধানসভা ভোটে তা দেখেছেন। পঞ্চায়েত ভোট যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়, তাহলেই বোঝা যাবে শাসকদলের পাশে কেউ নেই।”